
The Truth of Bengal: ভুটান থেকে সিকিম, সর্বত্র চলছে বৃষ্টি।সেই জল নামছে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায়।সঙ্গে উত্তরবঙ্গের বৃষ্টি,তৈরি করেছে বন্যা পরিস্থিতি।পাহাড়-সমতলে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির জেরে জলপাইগুড়িতে তিস্তা-জলঢাকা নদীর জল বিপদসীমা ছুঁয়ে গেছে। জলবন্দি হয়ে পড়েছেন আলিপুরদুয়ারের দশ হাজার বেশি মানুষ। লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে।
ফুলে ফেঁপে উঠেছে কালিন্দী নদীর জল। স্নান করতে গিয়ে নিখোঁজ এক যুবক। রতুয়া ২ ব্লকের মির্জাতপুর এলাকায় ভরা নদীতে স্নান করতে এসে নদীতে তলিয়ে যায় পেশায় রাজমিস্ত্রি আদনান খান। বিহারে তাঁর বাড়ি হলেও থাকেন পরানপুরের চাঁদপুরের শ্বশুর বাড়িতেই। পুকুরিয়া থানার পুলিশ তাঁকে উদ্ধারের জন্য নামায় ডুবুরি। উদ্ধারের লক্ষ্যে তত্পরতা শুরু করে স্পিডবোর্ড। কিন্তু শেষপর্যন্ত তাঁকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা যায়নি।
পাহাড়ি এলাকা থেকে জল গড়িয়ে সমতলে নামছে। বৃহস্পতিবার রাতে ভারী বৃষ্টির কারণে ফুলেফেঁপে উঠেছে শিলিগুড়ির উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মহানন্দা। জলস্তর উঠেছে ফুলেশ্বরী, জোড়াপানি, সাহু নদীতে। জল-যন্ত্রণার ভোগান্তিতে শিলিগুড়ি পুরনিগমেরও বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড। শুক্রবার সকাল থেকেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে ৪, ২৩, ২৫, ২৬ এবং ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা।পরে অবশ্য জল নামতে থাকে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে জলপাইগুড়ির বানারহাটে। প্রায় ২৯০ মিলিমিটার। সেচ দফতর জানিয়েছে, তিস্তা জলঢাকা-সহ সব নদীতেই জল বাড়ছে। হাতিনালা উপচে পড়ে বানারহাটে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। নাগরাকাটায় ডায়না নদীর বাঁধ ভেঙে জল ঢুকেছে গ্রামে।খড়িবাড়িতে ব্রিজ ডুবে যাওয়ায় বেঁধেছে বিপত্তি।
বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায়। প্রশাসন সূত্রে খবর, দু’জনের মৃত্যুও হয়েছে। নিখোঁজ এক জন। জলে প্লাবিত হয় কোচবিহারের তোর্সা নদী লাগোয়া অসংরক্ষিত এলাকা। ঘুঘুমারিতেও নদী ঘেঁষে গড়ে ওঠা বসতি এলাকায় জল ঢুকে পড়ে। তুফানগঞ্জের বালাভূত গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝাউকুঠি এলাকায় কালজানির জলে অসম সংলগ্ন এলাকায় পার বাঁধের একটি অংশ ভেঙে যায়।