রাজ্যের খবর

দিনে দুপুরে পুকুর ভরাট! রুখে দিলেন ঝোড়হাট গ্রাম পঞ্চায়েত

Filled the pond at noon! Jhorhat Gram Panchayat stopped it

The Truth Of Bengal : দেবাশীষ গুছাইত, হাওড়া : জলাশয় বুজিয়ে বহুতল নির্মাণ করা হচ্ছে যার কারণে পরিবেশের বাস্তুতন্ত্র ক্ষতির মুখে পড়ছে সেই সতর্কতা পরিবেশবিদরা বারবার জানিয়ে আসছেন। রাজ্যের বিরোধী দলগুলি এই নিয়ে বারবার অভিযোগ করলেও এইসব জলাশয় বোঝানোর কাজে সাথে যুক্ত থাকেন শাসক দলের নেতা কর্মীরা। যার দরুন প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করে থাকে। আর এই ভাবেই বহু জলাশয় বুঝিয়ে গড়ে উঠছে বহুতল নির্মাণ। যদিও এর বিপরীত ছবি দেখা গেল ঝোড়হাট গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ন কাটা বাগানে এলাকায়।

একটি পরিত্যক্ত পুকুরকে দিনের আলোয় সাদা বালি দিয়ে বুঝিয়ে ফেলছিল একদল অসাধু ব্যক্তি। সেই পুকুর ভরাটকে রুখে দিল তৃণমূল পরিচালিত ঝোড়হাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। এলাকার বাসিন্দা মণীন্দ্রনাথ ঘোষ জানান তার ছোটবেলার সময়ে এই জলাশয়ে স্নান করতেন এবং মাছ চাষ হতো দেখেছেন। যদিও এই পুকুর কারা ভরাট করছেন তিনি জানেন ন। তবে যতদিন যাচ্ছে পুকুরটিতে অনেকেই আবর্জনা ময়লা ফেলছেন, যার থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে । বর্তমান ঝোড়হাট গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সঞ্জয় অধিকারী জানান ২০০৩ সালে তিনি যখন সদস্য ছিলেন এই পুকুরটি ভরাটের চেষ্টা হয়েছিল। সেই সময় তিনি বাধা দিয়েছিলেন। আবারো যখন পুকুর ভরাট হচ্ছিল ওই এলাকায় যিনি সদস্য আছে তার কাছে খবর গেলে পঞ্চায়েতের সকল সদস্যদের সিদ্ধান্তে ওই স্থানে একটি নোটিশ লাগিয়ে দেওয়া হয় কাজ বন্ধের জন্য পঞ্চায়েতের তরফ থেকে। এরপর সাঁকরাইল বিডিও, সাঁকরাইল থানায় অভিযোগ জানানো হয় । গত ৩রা এপ্রিল থেকে এখনো পর্যন্ত পুকুর বোঝানোর কাজ বন্ধ আছে। আগামী দিনে এই পুকুরটিতে সংস্কার করবেন বলেই প্রধান জানান।

তবে এই কাজকে তৃণমূলের ক্রেডিট দিতে নারাজ বিজেপি । দক্ষিণ হাওড়া বিজেপি তিন নম্বর মণ্ডলের সভাপতি সম্রাট রায় বলেন সাঁকরাইল ব্লকে এই ধরনের অবৈধ কার্যক্রম চলছে এবং সেটা শাসকদলের প্রচ্ছন্ন মদতেই হচ্ছে। তবে ওই এলাকায় সাধারণ মানুষ শাসকদলের হুমকির ভয়ে কেউ প্রশাসনের দ্বারস্থ হতে পারছেন না। পঞ্চায়েত প্রধান নিজেকে গা বাঁচাতে এই কাজটি করছে তাও পঞ্চায়েত কোন এফআইআর করেনি। তাদেরই এক কার্যকর্তা আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে বলেই কাজটি বন্ধ হয়েছে। তিনি পঞ্চায়েতের কাছে অনুরোধ করেছেন যে পুনরায় ওই জলাশয়কে সংস্কার করা হোক এবং চারিদিক সুন্দর করে সাজিয়ে দেওয়া হোক। এই বিষয়ে পরিবেশ প্রহরী সংগঠনের সভাপতি শুভাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় পঞ্চায়েতের এই কাজকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। এছাড়া তাদের পক্ষ থেকে ওই এলাকায় গিয়ে পথসভা করেছেন এবং জলাশয় বোঝানোর কুফল নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরেছেন। জলাশয় ভূমি ভরাটের বিরুদ্ধে ২৬ বছর ধরে তাদের সংগঠন এইভাবে কাজ করে আসছেন। তিনি আরো বলেন এই দুষ্ট চক্র যারা আছে তাদের কাছ থেকে যাতে এই জলাশয় ভূমিগুলো রক্ষা পায় তার জন্য সর্বত্রভাবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে এখন দেখার বিষয় ওই জলাশয় কে আগামী দিনে পঞ্চায়েত তার কথা মতন সংস্কার করে আবার পুনরায় রূপ দিতে পারেন কিনা?

Related Articles