হুগলিতে কিম্ভূতকিমাকার আলু নিয়ে হতাশ হয়ে কান্না চাষিদের
Farmers in Hooghly are disappointed with Kimbhutkimaka potatoes

The Truth Of Bengal: হুগলি জেলা মানে আলুর জেলা। এই জেলায় হাজার হাজার বিঘে জমিতে চাষ হয় আলু। শীতের শেষ এখন জমি থেকে আলু তোলার কাজ চলছে। কেউ জানেন না মাটির নীচে কেমন সাইজের আলু আছে। তাই অনেকের মধ্যে একটা উৎকণ্ঠা থাকে। আলু তুলতে গিয়ে অবাক তারকেশ্বর ব্লকের আস্তারা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চাষিরা। আলুর আকৃতি দেখে মাথায় হাত তাঁদের। চোখ, নাক, হাত, মুখ সবই আছে, নেই শুধু মাথা। দেখতে অনেকটা পুতুলের মতো। জমি থেকে আলু তুলতেই চক্ষু চড়কগাছ তারকেশ্বরের কয়েকশো চাষির। বছরের পর বছর আলু চাষ করে আসলেও এমন চেহারার আলু এর আগে দেখেননি কেউ। ব্যবসায়ীরা কেউ এই আলু কিনতে চাইছেন না। তাই চাষের আলু বাজারে বিক্রি হবে কী করে- এই প্রশ্নে চিন্তায় ঘুম উড়েছে চাষিদের।
চাষিদের অভিযোগ, গত বছর নভেম্বর মাসে আস্তারা গ্রামের বাসিন্দা প্রভাস দলুই নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে জ্যোতি আলুবীজ কিনে জমিতে চাষ করেছিলেন তাঁরা। দু’মাস পর আলু তুলতে গিয়ে তাঁরা দেখতে পান বেশিরভাগ আলু ফাটা। বাকিগুলি পুতুলের মতো আকৃতির। এমন আলু দেখে মাথায় হাত পড়ে যায় ওই এলাকার কয়েকশো চাষির। ইতিমধ্যেই তারকেশ্বর ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় বিধায়কের দ্বারস্থ হয়েছেন চাষিরা।
আলু চাষের শুরুতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে কিছুটা সময় পিছিয়ে গেলেও চাষের মরসুমে তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি আলু চাষে। তারপরও জমিতে যে ফলন হয়েছে তা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন চাষিরা। যে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তাঁরা আলু বীজ কিনেছিলেন তিনি নিম্নমানের বীজ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের জমি পরিদর্শন করে গীয়েছেন চাপাডাঙা আলু ব্যবসায়ী সমিতির কর্তারা। অনেক টাকা খরচ করে আলু চাষ করেছিলেন চাষিরা। এখন তাঁদের উৎপাদিত আলু কিনতে চাইছেন না ব্যবসায়ীরা। ফলে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে তাঁরা। তাই তাঁরা ক্ষতিপূরণ চাইছেন।
FREE ACCESS