রাজ্যের খবর

গ্রাম বাংলার অর্থনীতির বিকাশে জোর

Emphasis on the development of the economy of rural Bengal

The Truth of Bengal: কৃষকের হাতে তৈরি ফসলের বেচাকেনার ব্যবস্থা করতে চায় প্রশাসন। সেজন্য হাটের পরিকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তার অঙ্গ হিসেবে ডুয়ার্সের মেটেলি ব্লকের চালসায় নতুন রূপে তৈরি করা হচ্ছে চালসার হাট। চাষিরা যাতে তাঁদের ফসল ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে পারে জন্য রাজ্য সরকার বিপণন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করছে। মল-মাল্টিপ্লেক্সের যুগে চিরন্তন ব্যবস্থার গুরুত্ব যে এখনও রয়েছে তা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর স্পষ্ট করে দিচ্ছে।

হাট কবিতায় রবীন্দ্রনাথ চিরাচরিত বেচা-কেনার কথা তুলে ধরার মাধ্যমে  গ্রামীন অর্থনীতিতে তার গুরুত্ব বোঝাতে চেয়েছিলেন। শুধু রবীন্দ্রনাথই নয়, রমাপদ চৌধুরী, অদ্বৈত মল্লবর্মণ, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বাংলার বহু সাহিত্যিকের লেখায় উঠে এসেছে হাটের বর্ণনা। আধুনিক মল-মাল্টিপ্লেক্সের যুগে সেই হাটের বিক্রিবাটা এখনও চালু রাখতে চায় রাজ্য সরকার।বাজার অর্থনীতির প্রাণভোমরা যেখানে বাজারে লুকিয়ে সেখানে ক্রেতা-বিক্রেতার সমন্বয়ে জোর দিতে তত্পর প্রশাসন। অতীতে কখনও রাতের অন্ধকার আড়মোড়া ভাঙার আগে শুরু হয়ে যেত হাটের কাজ,কখনও আবার বেলা বাড়লে বেচাকেনার শোরগোল পড়ত। কেনা-বেচার পথও পদ্ধতি বদলে গেলেও গ্রামীন এলাকায় সেই বিপণনের বনেদি পদ্ধতির আলাদা আকর্ষণ রয়েছে। তাই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর হাটের পরিকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ নজর দিচ্ছে। ডুয়ার্সের মেটেলি ব্লকের চালসার মঙ্গলবাড়ি হাটকে নতুন রূপ দেওয়ার কাজ চলছে জোরকদমে। একদিকে কৃষকদের চাষের জিনিস বেচাকেনার সুযোগ করে দেওয়া আর অন্যদিকে,হাট-বাজারের পরিধি বাড়িয়ে রোজগারের পথও করে দিতে চাইছে বাংলার সরকার।এমনটাই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর স্পষ্ট করে দিয়েছে।

বহুদিন আগেই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের তরফে মঙ্গলবাড়ী হাটের হাট শেড ও বিল্ডিং নির্মাণ করা হয়েছে।   মঙ্গলবাড়ী হাটে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের তরফে হাট শেড তৈরি করা হলেও এখনো পর্যন্ত তা জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদকে হস্তান্তর করা হয়নি। জেলা পরিষদে হস্তান্তর করার পরেই যাতে দ্রুত এই হাট সেড গুলি ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করতে পারে সেই বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন।গ্রামবাংলার অর্থনীতির গতি বাড়ানো ও কৃষকের উন্নতির জন্য এই চিরন্তন হাট সবমহলের মনে আশা জাগাচ্ছে।

Related Articles