ভাঙ্গড়ে কালবৈশাখীর জেরে হাঁটু জল ধানের জমিতে, মাথায় হাত চাষিদের
Due to Kalbaisakhi, paddy fields in Bhangarh are knee-deep in water, farmers are in a state of shock.

Truth of Bengal:ইয়ামুদ্দিন সাহাজী,ভাঙ্গড়: দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙ্গড় ২ নম্বর ব্লকের চালতাবাড়িয়া অঞ্চলের পাখিমারা গ্রামে কালবৈশাখীর দাপটে তছনছ হয়ে গেছে কৃষকের জীবিকা। প্রবল ঝড় ও টানা বৃষ্টির ফলে এই এলাকার বিস্তীর্ণ ধানক্ষেতে এক হাঁটু পর্যন্ত জল জমে গেছে। ধান কাটার মুখে এমন দুর্যোগে কৃষকরা পড়েছেন গভীর সংকটে।
পাকা ধানের জমিতে জল ঢুকে পড়ার কারণে ধান গাছ পচে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কৃষকরা জানিয়েছেন, এই ধান যদি কেটে তোলা না যায়, তাহলে এই মরসুমে তাদের হাতে কিছুই থাকবে না। ফলে এখন তারা প্রাণপণে যেটুকু ফসল বাঁচানো যায় সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ জল কেটে খেত থেকে ধান তুলে রাখছেন, কেউ আবার হতাশ হয়ে মাঠের পাশে বসে আছেন, কারণ অনেক ক্ষেতেই চাষের খরচ তোলাও সম্ভব হচ্ছে না।
এই অবস্থার জন্য শুধুমাত্র প্রকৃতিকে দোষ দিচ্ছেন না কৃষকরা। তাদের অভিযোগ, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভেড়ির মালিকদের গাফিলতি। এলাকার কিছু বড় বড় ভেড়ি সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করার ফলে পাড় ভেঙে জল ঢুকে পড়েছে চাষের জমিতে। অনেক চাষি জানান, আগেও একাধিকবার তাঁরা স্থানীয় প্রশাসন ও মালিকদের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ফলে এবার কৃষকরা প্রতিবাদের পথে। ভেড়ির মালিকদের বিরুদ্ধে তাঁরা আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শীঘ্রই একাধিক চাষির স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র ভাঙ্গড় ২ নম্বর ব্লকের বিডিও অফিস ও উত্তর কাশিপুর থানায় জমা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
চাষিদের দাবি প্রথমত অবিলম্বে জমি থেকে জল সরে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে এবং দ্বিতীয়ত ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে সরকারকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাঙ্গড় দক্ষিণবঙ্গের একটি গুরুত্বপূর্ণ কৃষিপ্রধান অঞ্চল। সেখানে ধান ও সবজির উৎপাদন বিপুল পরিমাণে হয়। এই ধরনের দুর্যোগ শুধু কৃষকের আয় নয়, সামগ্রিকভাবে বাজার ও কৃষিনির্ভর অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলবে। এ কারণে জল নিষ্কাশন ও পূর্ব সতর্কতা ব্যবস্থা উন্নত করা ছাড়া উপায় নেই।