রাজ্যের খবর

পুরুলিয়ার অস্থি পাহাড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ডাইনোসরের জীবাশ্ম

Dinosaur Fossils Scattered in Bone Hill of Purulia

The Truth Of Bengal: মানুষের মনে কৌতূহলের কোনো অন্ত নেই। আর যদি কথা ওঠে বহু প্রাচীন অবলুপ্ত কোন প্রাণীকে নিয়ে! তাহলে তো তার ইতিহাস খুঁজে বের করতে পিছপা হয়না সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শিক্ষার্থী এবং বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি ঝালদা ২ নম্বর ব্লকের চিতমু গ্রাম পঞ্চায়েতের তাহেরবেড়াগ্রাম সংলগ্ন মাড়ামু মৌজায় প্রায় ২০০ ফুট উঁচুতে আনন্দমার্গীদের অস্থি পাহাড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ডাইনোসরের জীবাশ্ম এমনটাই দাবি এলাকাবাসীদের। আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের দাবি, অস্থি পাহাড়ে রয়েছে ডাইনোসরের পশ্চাৎ বা লেজের অংশের জীবাশ্ম।

এলাকাবাসীদের এই দাবিকে কোনভাবেই ঝেড়ে না ফেলে অন্বেষণের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন। পুরুলিয়ার জেলাশাসক রজত নন্দা জানান, ” এ বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ করছি। যথাস্থানে বিষয়টি জানানো হবে।”

প্রসঙ্গত ১৯৮০ সালের ২৭ ডিসেম্বর আনন্দনগরের পশ্চিম অংশে অবস্থিত একাধিক বৃহৎ পাহাড়ের মধ্যে ছোট্ট একটি অস্থি নামক পাহাড়ে উপরোক্ত সংঘের প্রতিষ্ঠাতা প্রভাত রঞ্জন সরকার ওরফে শ্রীশ্রী আনন্দমূর্তি অস্থি পাহাড়ের চূড়ায় গিয়ে নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, ” এটা ডাইনোসরের ফসিল”। তারপর থেকেই সেখানেই বোর্ড বসিয়েছিলেন আনন্দমার্গীরা। কিন্তু সেই বোর্ড এখন আর নেই। এরপর ২০২৪ এই অস্থি পাহাড়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, অন্বেষণ এবং গবেষণার জন্য জোরালো দাবি জানান এলাকাবাসীরা।

এদিকে এই বিষয়ে আনন্দমার্গের সদর দপ্তরের রেক্টর মাস্টার আচার্য নারায়ণচন্দ বলেন, “এটি তুষার যুগের পরবর্তীকালের ফসিল। অস্থি পাহাড় থেকে উদ্ধার হওয়া ডাইনোসরের লেজের জীবাশ্মের অংশ কলকাতার লেক গার্ডেন্স-এ গুরুদেব আনন্দমূর্তিজির বাসভবন মধুমালঞ্চর সংগ্রহালয়ে রাখা রয়েছে। এছাড়া আরও কিছু ফসিল আবিষ্কৃত হয়েছে। যেমন আগেকার শাল জাতীয় বৃক্ষ, বড় জন্তু-জানোয়ারের কোমর, বাঘের মুখ, সিংহ জাতীয় জীবের পায়ের নিচের অংশ। এছাড়া অতি প্রাচীন কঠিন শিলা। সেই সঙ্গে রুপো, অভ্র মিশ্রিত শিলাও। তখন থেকেই এই পাহাড়ের নাম দেওয়া হয় অস্থি পাহাড়। তাই এই পাহাড়ে যা জীবাশ্ম এখনও রয়েছে আমরা চাই তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে কার্বন রেটিং, অন্বেষণ, গবেষণা। রাজস্থানে যদি এই কাজ হয়ে থাকে তাহলে ছোটনাগপুর মালভূমির এই এলাকায় হবে না কেন?’’

এ প্রসঙ্গে ওয়েস্ট বেঙ্গল মিনারেল ডেভেলপমেন্ট এন্ড ট্রেডিং কর্পোরেশন লিমিটেড সিনিয়র ম্যানেজার (জিওলজি ) সুমন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ” এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যেমন নির্দেশ আসবে সেই মোতাবেক আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করব। এই জেলায় সরীসৃপ জাতীয় প্রাণীদের ফসিল নিয়ে বহুদিন ধরেই কাজ চলছে। তবে তা জেলার অন্য অংশে।’’

FREE ACCESS

Related Articles