কলকাতারাজ্যের খবর

দেদার অপব্যবহার! গরুর স্নান, মাছ চাষ, শৌচাগারে ব্যবহার করা হচ্ছে পানীয় জল

Deda misuse! Drinking water is being used for cow bathing, fish farming, and toilets

Truth Of Bengal: রাজ্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিটি ঘরে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর এই প্রকল্প বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রায় ৯২% বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে, বাকি কাজ ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

তবে এই বিশুদ্ধ পানীয় জল অনেক ক্ষেত্রেই সঠিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে না। দেখা যাচ্ছে, কিছু মানুষ সেই জলকে গবাদি পশু স্নান করানো, মাছ চাষ, নির্মাণকাজ, এমনকি শৌচাগারে ব্যবহার করছেন।

হাওড়ার আমতা-২ ব্লকের মহিষামুড়ি গ্রামে সরকার থেকে দেওয়া পানীয় জলের সংযোগ টেনে শৌচাগারে ব্যবহার করা হচ্ছে। বাগনান-২ ব্লকের মুগকল্যাণ গ্রামে মাটির নিচে বড় ট্যাঙ্ক বসিয়ে সেই ট্যাঙ্কে পানীয় জল জমা করা হচ্ছে। বালির জগাছা এলাকায় নির্মাণকাজ এবং জামাকাপড় ধোওয়ার জন্য ব্যবহার হচ্ছে এই জল।

উলুবেড়িয়ার ধুলাসিমলা এলাকায় একটি পোলট্রি ফার্মে পানীয় জল ব্যবহার করা হচ্ছে। উদয়নারায়ণপুরের পাঞ্চারুল গ্রামে গবাদি পশুকে স্নান করানোর কাজেও এই জল ব্যবহার হচ্ছে।

বিশ্বজুড়ে পানীয় জলের অভাব একটি বড় সমস্যা। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, ভবিষ্যতে জল সংকটের জন্য বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণও হতে পারে পানীয় জল।

রাজ্য সরকার এই সমস্যা সমাধানের জন্য ঘরে ঘরে বিশুদ্ধ জল পৌঁছে দিচ্ছে। জলাশয়ের জল বা চাপাকলের জল থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে এবং আর্সেনিক দূষণের হাত থেকে বাঁচাতে সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে। অথচ কিছু দায়িত্বজ্ঞানহীন মানুষের কারণে এই জলের অপব্যবহার ঘটছে।

রাজ্য সরকারের উদ্যোগের প্রতি মানুষের সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। পানীয় জল কেবলমাত্র পান করার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হওয়া উচিত। যদি এখনই এই অপব্যবহার বন্ধ না হয়, তবে ভবিষ্যতে আমাদের হয়তো চরম মূল্য দিতে হতে পারে।

Related Articles