সিভিক ভলান্টিয়ারের মেয়ের স্বপ্ন ডাক্তার হওয়া! পাশে পুলিশ সুপার
Civic volunteer's daughter dreams of becoming a doctor! Police Superintendent by her side

Truth Of Bengal:শান্তনু পান, পশ্চিম মেদিনীপুর: ২০২৫ সালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিড়াকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী লাবনী মাহাতো এ বার মাধ্যমিকে পেয়েছে ৬৪৭। লাবণীর সাফল্যে খুশি হলেও অভাবের সংসারে কী ভাবে মেয়েকে ডাক্তারি পড়াবেন সেই চিন্তায় ঘুম উড়েছে তার বাবা কিনু মাহাতোর। সিভিক ভলান্টিয়ারের মেয়ের স্বপ্ন ডাক্তার হয়ে মানুষকে সেবা করার। কিন্তু মেয়ের স্বপ্নপূরণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে অর্থ সংকট। আশঙ্কা কৃতী ছাত্রীর বাবার।
তবে লাবণীর কথা শোনার পর তার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার। পিড়াকাটার বহড়াবনি গ্রামের বাসিন্দা কিনু মাহাতের দুই মেয়ের মধ্যে লাবণীই বড়। একচিলতে মাটির বাড়িতে কোনও মতে দিন কাটে চারজনের। বাবা সিভিক ভলান্টিয়ার। পিড়াকাটা পুলিশ ফাঁড়িতে সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কর্মরত কিনু। সামান্য বেতনে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয় তাঁকে। তার মা গৃহবধূ।
ক্লাসে বরবারই দ্বিতীয় স্থান অধিকার করত লাবণী। মাধ্যমিকেও সেই সাফল্য বজায় রেখেছে সে। তবে আগামী দিনের তার স্বপ্ন ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করার। ডক্টর হতে গেলে যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন তার বাবা কিভাবে জোগাড় করবেন ভেবেন পাচ্ছেন না, ঠিক সেই সময় জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার পাশে এসে দাঁড়িয়ে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন। পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার লাবণীর পাশে দাঁড়ানোর পর কিনু মাহাতো বলেন, ‘আমি গর্বিত। স্যারকে প্রণাম জানাই।’