রাজ্যের খবর

উত্তরবঙ্গের চা শ্রমিকদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর চা সুন্দরী প্রকল্প…

Chief Minister's Cha Sundari Scheme for North Bengal Tea Workers.

The Truth Of Bengal: বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, পালন করেনি। মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং তা পালনও করলেন। উত্তরবঙ্গের চা শ্রমিকদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী চালু করেছেন চা সুন্দরী প্রকল্প। চা শ্রমিকদের জন্য চা সুন্দরী প্রকল্প এনে তাদের জমির পাট্টা দেওয়া হচ্ছে। এই প্রকল্পর মূল উদ্দেশ্য হল চা শ্রমিকদের আরও নানা সুবিধা দেওয়া। একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকে ৫৫১ জন চা শ্রমিকের হাতে তুলে দেওয়া হল জমির পাট্টা। খূশ শ্রমিকরা।

রুগ্ন চা বাগানের জন্য অনেক কথা বলেছিল বিজেপি। গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটের সময় প্রচারে এসে বিজেপি ঘোষণা করেছিল চা বাগানের হাল ফেরাতে পদক্ষেপ করা হবে বলে। কিন্তু, সে সব কিছুই হয়নি। উল্টে অনেক চা বাগান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এমন অবস্থায় রাজ্য সরকার বাগান রুগ্ন হওয়া ও বন্ধ হওয়া আটকাতে সচেষ্ট। মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে অনেক বাগান খুলেছে। চা শ্রমিকদের জন্য চা সুন্দরী প্রকল্প এনে তাদের জমির পাট্টা দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পর মূল উদ্দেশ্য হল চা শ্রমিকদের নানা সুবিধা দেওয়া। এই প্রকল্পের ঘোষণা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পে উত্তরবঙ্গের চা বাগানের প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার পরিবারকে বাড়ি দেওয়া হবে। উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকে ৫৫১ জন চা শ্রমিকের হাতে তুলে দেওয়া হল জমির পাট্টা।

গত ৩০ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রায়গঞ্জে সরকারি অনুষ্ঠান থেকে চা সুন্দরী প্রকল্পের আওতায় দু চা শ্রমিকের হাতে চা সুন্দরী প্রকল্পের সুবিধা তুলে দিয়ে সূচনা করেছিলেন। ইতিমধ্যে প্রথম কিস্তির টাকা চা শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে ঢুকে গিয়েছে। চা শ্রমিকদের হাতে জমির পাট্টা তুলে দিয়ে জানানো হয় কী ভাবে তাঁরা বাড়ি তৈরি করবেন। সব মিলিয়ে খুশির হাওয়া চা শ্রমিকদের মধ্যে।

চা শ্রমিকদের উন্নতির জন্য বিশেষ ভাবে চিন্তা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তার সেই চিন্তার প্রতিফলন এই চা সুন্দরী প্রকল্প। এমনটাই জানিয়েছেন চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে চা শ্রমিকরা ঘর তৈরির জন্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে পাবেন। তিন কিস্তিতে টাকা পাবেন উপভোক্তারা। প্রথম কিস্তি ৬০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় কিস্তি ৪০ হাজার ও তৃতীয় কিস্তি ২০ হাজার টাকা। প্রতি কিস্তির টাকা নির্দিষ্ট সময়ে ঢুকবে অ্যাকাউন্টে। পাট্টা বিলি অনুষ্ঠানে বিধায়ক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।

Related Articles