ঘাটালে বন্যা পরিদর্শনে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Chief Minister Mamata Banerjee came to inspect the floods at Ghatal

Truth Of Bengal : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালে বন্যা পরিদর্শন গেলেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার, ঘাটাল মহকুমা অধিকারী সুমন বিশ্বাস সহ ঘাটালের প্রশাসনিক আধিকারিকরা। ঘাটালে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত হয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক ড: খুরশেদ আলী কাদরী।
প্রসঙ্গত, আজ হুগলির পুরশুড়া ব্লকে বন্যা পরিদর্শনে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুরে একটি সেতুতে দাঁড়িয়ে প্লাবন দেখে তিনি কেন্দ্রের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রের অসহযোগিতা এবং উদাসীনতার জন্যই বাংলায় এই বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ডিভিসির দিকেও অভিযোগের আঙুল তোলেন তিনি।
মমতা বলেন, ‘‘ডিভিসি থেকে সাড়ে তিন লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। আমি নিজে ডিভিসি এবং ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। এত জল আগে কখনও ছাড়া হয়নি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যখন বাঁধে ৭০-৮০ শতাংশ জল জমা হয়, তখন ডিভিসি কেন জল ছাড়ে না? কেন্দ্র কেন ড্রেনেজ করে না? নিজেদের রাজ্যগুলো বাঁচাতে গিয়ে সব বাংলার উপরে চাপিয়ে দিচ্ছে। বাংলা আর কত বঞ্চনা সহ্য করবে?’’ মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ‘‘বাংলাকে পরিকল্পিত ভাবে ডোবানো হচ্ছে।’’
রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি আসলে ‘ম্যান মেড’ বলে প্রায়ই শোনা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে। হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে দুই বছর আগেও তিনি একই মন্তব্য করেছিলেন। ২০০০ সালে রাজ্যজুড়ে বন্যার পরেও তিনি ‘ম্যান মেড’ বলেছিলেন। পার্থক্য শুধু এটাই যে, তখন তিনি বিরোধী দলের নেত্রী ছিলেন, এখন তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমেও তিনি ‘ম্যান মেড’ বন্যার কথা উল্লেখ করেছেন। অগস্ট মাসে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সাথে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পর, তিনি এক্স হ্যান্ডলে (পূর্বের টুইটার) লিখেছেন, “আমি সবেমাত্র ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনজির সাথে কথা বলেছি। বন্যা পরিস্থিতি ও তেনুঘাট থেকে হঠাৎ জল ছাড়ার বিষয়ে আলোচনা করেছি। এর ফলে বাংলা ইতিমধ্যেই প্লাবিত হচ্ছে। আমি তাঁকে বলেছি, ঝাড়খণ্ডের জলে বাংলা প্লাবিত হচ্ছে এবং এটি ‘ম্যান মেড’। আমি এই বিষয়টি দয়া করে দেখার জন্য অনুরোধ করছি।”