রাজ্যের খবর

মহিলা পুলিশ কর্মীদের মাথায় সিঁদুর বিজেপি কর্মীদের! চাঞ্চল্য চুঁচুড়া

BJP workers smear vermilion on women police personnel's heads! Sensation erupts

Truth Of Bengal: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঁদুর নিয়ে মন্তব্যেকে ঘিরে প্রতিবাদ গেরুয়া শিবিরের। ঘটনাটি ঘটে হুগলি জেলার চুঁচুড়ায়। তৃণমূল সুপ্রিমোর সেই অপমানজনক মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে মহিলা পুলিশ কর্মীদের পড়ানো হয় সিঁদুর। তবে এই সিঁদুর কোন পুরুষের দ্বারা পড়ানো হয়নি। পড়ানো হয়েছে বিজেপির মহিলা কর্মীদের দাড়াই। যদিও বিজেপির এক মহিলা কর্মীর বক্তব্য, সিঁদুর তাঁরা নিজেরাই পড়েছেন এবং কোন জোর করা হয়নি। তবে ঘটনাকে ঘিরে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

বৃহস্পতিবার, ২৯শে মে, আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে একাধিক বিষয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের কথাও তুলে ধরেন উপস্থিত গিরুয়া শিবিরের সমর্থক ও কর্মীদের সামনে। এদিন প্রধানমন্ত্রীকে দেখার এবং তাঁর বক্তব্য শোনার জন্য বহু মানুষ ভিড় জমান। এরপরই নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে সিঁদুর প্রসঙ্গে পাল্টা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন যে প্রধানমন্ত্রী সিঁদুর বেঁচতে এসেছেন। এই মন্তব্য নিন্দা কুড়িয়েছে অনেকের।

এমন অপমানজনক মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে হুগলি জেলার চুঁচুড়ায় বিক্ষোভ দেখানো হয় বিজেপির তরফ থেকে। এই প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে যে গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা প্রতিবাদ জানাতে রাস্তা অবরোধ করেন পিপুলপাতি পাঁচমাথা মোরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ এবং পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। তখনই ঘটে ঘটনা। পুলিশ যখন তাঁদের রাস্তা থেকে সরানোর চেষ্টা করে, তখন মহিলা পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়ান বিজেপির মহিলা কর্মীরা। এরপরই নাকি মহিলা পুলিশদের কপালে সিঁদুর দিয়ে দেওয়া হয় বিজেপির মহিলা বিক্ষোভকারীদের তরফ থেকে। এমনটাই অভিযোগ করেছেন এক মহিলা পুলিশ।

তিনি বলেন, “আমরা ডিউটি করতে এসেছিলাম এখানে। ওরা জোর করে আমাদের সিঁদুর পরিয়ে দিয়েছে।” যদিও বিজেপি এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দলের এক মহিলা কর্মী নিরুপা চক্রবর্তী এই প্রসঙ্গে নিজের বক্তব্য জানান। তিনি বলেন, “আমাদের অহংকার সিঁদুর। আমি নিজে এটা পড়বো আর বিবাহিত মহিলাদেরও পড়াবো। তবে পুলিশ কর্মীরা নিজে থেকেই সিঁদুর পড়েছিলেন।” প্রসঙ্গত, অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে পাকিস্তানকে বড় জবাব দিতে সফল হয়েছে ভারতীয় সেনা। শুধু দেশবাসী নয়, বিদেশ থেকেও প্রশংসা কুড়িয়েছে ভারত সরকারের এই পদক্ষেপ। এবার দেখার বিষয় যে বাংলায় সিঁদুর নিয়ে রাজনীতি কোনদিকে এগোয়ে। কোথায় এর ইতি? সব প্রশ্নের উত্তর দেবে সময়।

Related Articles