রাজ্যের খবর

বাড়ছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ, আরও কড়া নজরদারি দাবি সীমান্তে

Bangladeshi infiltration on the rise, demand more surveillance on the border

Truth Of Bengal: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে বারেবার প্রশ্ন। কাঁটাতারের সীমানা তৈরি করা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সংঘাত লেগেই রয়েছে। করছে একে অপরকে দোষারোপ। কেন্দ্র বলছে রাজ্য দিচ্ছে না জমি, রাজ্য বলছে তারা সহযোগিতার হাত অনেক আগেই বাড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? প্রতিদিনই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে বাড়ছে অনুপ্রবেশের সংখ্যা, ব্যতিক্রম নয় নদিয়ার হাঁসখালি ব্লক ও কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা। এই দুটি জায়গায় বেশ কিছু অংশ রয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত।

স্থানীয়দের দাবি, যে সমস্ত জায়গাগুলিতে এখনও কাঁটাতার দেওয়া হয়নি সে সমস্ত জায়গাগুলিকে ব্যবহার করছে বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীরা। অনায়াসে ঢুকে পড়ছে ভারতে। রাত হলেই অনুপ্রবেশকারীদের উপদ্রব বাড়ে। সঙ্গে চোরাকারবারিদের উপদ্রব শুরু হয়। সীমন্ত লাগোয়া বাসিন্দাদের প্রশ্ন, বিএসএফ-এর নজর এড়িয়ে কীভাবে অনুপ্রবেশ হচ্ছে, তা হলে কি নজরদারিতে ব্যর্থ বিএসএফ?

সামগ্রিক বিষয়ে কেন্দ্র সরকারকেই দোষারোপ করলেন নদিয়ার হাঁসখালির পঞ্চায়েত সভাপতি শিল্পী বিশ্বাস। তাঁর কথায়, সীমান্ত পাহারা দেয় বিএসএফ, যেটা কেন্দ্র সরকারের তত্ত্বাবধানে। বিএসএফের গাফিলতির কারণে যেমন অনুপ্রবেশ হচ্ছে তেমনই অসাধু ব্যবসায়ীরা ভারতে ঢুকে চোরা কারবারে চালাচ্ছে। বিএসএফের উচিত অবিলম্বে নজরদারি আরও বেশি করে বাড়ানো।

অনুপ্রবেশকারী নিয়ে সীমান্ত এলাকার মানুষের মতো রাজ্য পুলিশও খুবই চিন্তিত। এখনও পর্যন্ত অনুপ্রবেশে রুখতে পারছে না বিএসএফ। পুলিশের হাতে প্রতিদিনই ধরা পড়ছে একের পর এক যেমন অনুপ্রবেশকারী ও ভারতীয় দালালচক্র। এখনই যদি সীমান্তবর্তী এলাকাগুলির নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয় তা হয় তা হলে নিরাপত্তা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন থেকে যাচ্ছে।

Related Articles