রাজ্যের খবর

নারীর ক্ষমতায়নে জোর জেলায় জেলায় সচেতনতা

Awareness in every district on women's empowerment

Truth Of Bengal: টেরে দেস হোমস ফাউন্ডেশন এবং প্রাজক-এর সহযোগিতায় ডব্লিউবিসিপিসিআর আয়োজিত ‘এমপাওয়ারপ্লে: বিল্ডিং সেফার ফিউচারস ফর গার্লস থ্রু স্পোর্ট’ অনুষ্ঠিত হল ভিভান্তা ইএম বাইপাসে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জয়দীপ সেনগুপ্ত, প্রজেক্ট হেড- শিশু সুরক্ষার, টেরে দেস হোমস ফাউন্ডেশন অনিন্দিত রায়চৌধুরী, টেরে দেস হোমস ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি অফিসের প্রধান তুলিকা দাস সহ বিশিষ্টজনেরা।

সেখানেই নারীর ক্ষমতায়ন সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে টেরে দেস হোমস ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম ম্যানেজার জানান, ২০১৯ সাল থেকে শুরু হয়েছিল এই যাত্রাপথ। পশ্চিমবঙ্গ শিশু সুরক্ষা অধিকার আয়োগ, টেরে দেস হোমস ফাউন্ডেশন এবং প্রাজক নামক এক সেচ্ছাসেবক সংস্থার উদ্যোগে এটি শুরু হয়। পাঁচ হাজার মেয়েকে নিয়ে মুর্শিদাবাদ, শিলিগুড়ি, মালদা, জলপাইগুড়ি, সুন্দরবন জুড়ে এই কাজ করা হয়।

যাতে তারা সমাজের মধ্যে থাকা প্রতিকূলতাকে জয় করতে পারে। অন্যদিকে প্রাজকের ডিরেক্টর জানিয়েছেন, প্রায় ছয় বছর ধরে মেয়েদের নিয়ে কাবাডি খেলার মাধ্যমে সতর্কীকরণের কাজ শুরু করেছিলাম। প্রথমত, তাদের যাতে না তাড়াতাড়ি বিয়ে হয়ে যায়, সমাজের সমস্ত প্রতিকূলতা তারা যাতে কাটাতে পারে সেইজন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। আমরা চাই যাতে এই খেলার মাধ্যমে মেয়েরা যাতে নিজেদের জীবন পরিবর্তন করতে পারে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সাল থেকে টেরে দেস হোমস ফাউন্ডেশন এবং প্রাজক যৌথভাবে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় ‘কাবাডি ফর এমপাওয়ারমেন্ট’ শুরু হয়। যা ‘গ্লোবাল স্পোর্টস ফর প্রোটেকশন’ টুল-এর সঙ্গে যুক্ত। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হল কিশোরীদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করা, তাদের শিক্ষা অব্যাহত রাখা এবং বাল্যবিবাহ রোধ করা—যার মাধ্যমে তারা বিভিন্ন শিশু অধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারে।

গত ছয় বছরে এই প্রকল্পটি ৪,০০০-এরও বেশি কিশোর-কিশোরীর উপর সরাসরি প্রভাব ফেলেছে। এই যাত্রায় পশ্চিমবঙ্গ শিশু সুরক্ষা অধিকার আয়োগ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই প্রকল্পটি প্রথমে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নারী ও শিশু উন্নয়ন ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা-র উৎসাহ ও সমর্থন পেয়েছিল। যা বাস্তবায়নের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই উদ্যোগের দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য হল খেলাধুলা ভিত্তিক ক্ষমতায়নের কৌশলগুলিকে রাজ্যের শিশু সুরক্ষা এবং শিক্ষা কাঠামোয় অন্তর্ভুক্ত করা। এটি বাল্য বিবাহ এবং লিঙ্গভিত্তিক হিংসা হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।