ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার আবহে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সম্প্রীতির বার্তা
Amidst India-Pakistan tensions, a message of harmony on the India-Bangladesh border

Truth Of Bengal: মাধব দেবনাথ, নদিয়া: বর্তমান আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যখন উত্তেজনা চরমে, ঠিক সেই সময়ে সম্প্রীতি ও সচেতনতার এক উজ্জ্বল নজির গড়ে তুলছে নদিয়ার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত অঞ্চল। পাকিস্তানের লাগাতার সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ভারত যখন একের পর এক কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে, তখন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে — বিশেষত কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভার গেদে সীমান্তে- চলছে সম্প্রীতির বার্তা ছড়ানোর উদ্যোগ।
এদিন কৃষ্ণগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক আশীষ কুমার বিশ্বাস উপস্থিত হয়ে দুই দেশের সীমান্তবর্তী সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন, তাঁদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলার পাশাপাশি সৌহার্দ্যের বার্তাও ছড়িয়ে দেন। “বাংলাদেশের বেশিরভাগ নাগরিক মেডিকেল ভিসা নিয়ে ভারতে আসেন চিকিৎসার জন্য। ভারত সবসময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে,” বলেন বিধায়ক আশীষ কুমার বিশ্বাস। তিনি আরও জানান, অতীতে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও, তা কখনই দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করেনি। বরং ভারত বাংলাদেশের প্রতি এক অভিভাবকের মতো আচরণ করেছে।
বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে বিএসএফের পক্ষ থেকে সীমান্তে নজরদারি বহুগুণ বাড়ানো হয়েছে। টহলদারি চলছে দিনরাত, যাতে কোনো বহিরাগত অনুপ্রবেশ কিংবা উস্কানিমূলক কার্যকলাপ সীমান্ত অঞ্চলে প্রভাব ফেলতে না পারে। সীমান্তবর্তী এলাকার সাধারণ মানুষও মনে করেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের প্রতিক্রিয়া যেমন জরুরি, তেমনই বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক রক্ষা করাও কূটনৈতিক ও মানবিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
দুই দেশের মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্য বজায় রাখতে স্থানীয় নেতৃত্বের এমন উদ্যোগকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশিষ্ট মহল। একদিকে জওয়ানদের সীমান্ত পাহারা, অন্যদিকে জনপ্রতিনিধিদের সরাসরি মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সম্প্রীতির বার্তা — এই যুগল প্রচেষ্টা নদিয়ার সীমান্তকে করে তুলেছে শান্তিপূর্ণ ও সজাগ। এই পরিস্থিতিতে বারবার উঠে আসছে একটাই বার্তা — সীমান্তে কাঁটাতার থাকলেও, মন যেন থাকে অটুট সম্প্রীতির বন্ধনে বাঁধা।