ফেসবুক লাইভে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ, অগ্নিদগ্ধ দম্পতি
Allegation of emotional abuse on Facebook Live, burnt couple

Truth Of Bengal: ফেসবুক লাইভে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ দম্পতির। সামাজিক সম্মান নষ্ট হওয়ায় গায়ে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিদগ্ধ স্বামী। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে স্ত্রীও আক্রান্ত। অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তারা।
স্থানীয় ও পুলিশের মারফৎ জানা গিয়েছে, বহুদিন যাবৎ অলোক হাজরা ও আসিফ হোসেন মোল্লা একটি প্রোডাক্ট এর নেটওয়ার্ক ব্যবসার সাথে জড়িত। বর্তমানে তাদের সম্পর্কে ভাটা পড়ে।
আসিফের দাবি, অলোকের কাছ থেকে তার ছয় লক্ষ টাকা পাওনা। সেই টাকা না পেয়ে সমাজমাধ্যমে অলোকের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য পোস্ট করে আসিফ।
ফেসবুক লাইভেও অলোকের সম্মানহানি করা হয় বলে অভিযোগ উঠছে। চোর, চিটিংবাজ বলে সমাজমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে পোস্ট করে আসিফ। পোস্ট ডিলিট করতে বলা হলেও করা হয়না।
বুধবার সন্ধ্যাবেলা আসিফ যখন দোকানে থাকে তখন আসিফের বাড়ি যায় অলোক ও তার স্ত্রী। আসিফ দোকান থেকেই ফেসবুক লাইভ করতে থাকে।
পরে আসিফ বাড়িতে ফিরলে তাদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। ঠিক তখনই অলোক গায়ে পেট্রোল ঢেলে নিজের গায়ে আগুন দিয়ে দেন। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে স্ত্রীও অগ্নিদগ্ধ হন।
তার স্ত্রীর নাম মৌসুমী। অলোক স্ত্রীকে জানায়, তার আত্মহত্যা করা ছাড়া কোন উপায় নেই। গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিলে ধপ করে আগুন লেগে যায়। স্বামীকে বাঁচাতে গেলে তার গায়েও আগুন লাগে। ঘটনাস্থল থেকে আসিফ পালিয়ে যায়।
স্থানীয়দের তৎপরতায় তাদের দুজনকে পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তারপর চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে তাদের স্থানান্তর করা হয়। আহতদের সহকর্মী পাপিয়া নন্দী জানিয়েছেন, অলোকের মতো সৎ মানুষের ওপর মিথ্যে অভিযোগ করে সম্মানহানিকর পোস্ট করা হয়েছিল সমাজমাধ্যমে। তার বিচার চাইতেই তারা সেখানে গিয়েছিলেন।
আসিফ ফেসবুক লাইভে বলেন, তিনি যখন বাড়িতে ছিলেন না, তার মা বাবার ওপর চড়াও হয় তারা। মহিলা দিয়ে শ্লীলতাহানির মামলা করার হুমকিও দেখানো হয়। ইতিমধ্যেই আসিফের খোঁজে নেমেছে পুলিশ। হুগলীর গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত সুপার কল্যাণ সরকার জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীক কোন সম্পর্ক ছিল তাদের মধ্যে। যেমন অভিযোগ করা হবে সেই মতো ঘটনার তদন্ত করা হবে।