পার্থ-অর্পিতার পর এবার ‘তারক-শতরূপা’, ওষুধ কেলেঙ্কারিতে উত্তাল বারুইপুর
After Partha-Arpita, now 'Tarak-Shatarupa', Baruipur in turmoil over drug scandal

Truth Of Bengal: রেবতি মালি, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা: দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর থানায় চাঞ্চল্যকর প্রতারণা-কাণ্ডের পর্দাফাঁস। নামী ওষুধ কোম্পানিতে ওষুধ সরবরাহের নাম করে প্রায় ১৬ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে নাগেরবাজারের বাসিন্দা তারকনাথ ভট্টাচার্য এবং তাঁর বান্ধবী শতরূপা সরদার-এর বিরুদ্ধে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, গত তিন বছর ধরে বারুইপুরে ‘সস্তা সুন্দর’ নামে এক সংস্থার হয়ে ওষুধ সরবরাহের নামে তারকনাথ নানা কোম্পানির কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবে ওষুধের কোনও সরবরাহ হয়নি।
প্রথমে বারুইপুর থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়েরের পর ৬ মার্চ নাগেরবাজার এলাকা থেকে তারকনাথকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের কাছ থেকে ১১ লক্ষ টাকার সোনার গহনা, একটি বিলাসবহুল গাড়ি, ও প্রায় এক কোটি টাকার ওষুধ উদ্ধার করা হয়।
এরপর তারকনাথকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে লাগাতার জেরা করলে উঠে আসে তাঁর বান্ধবী শতরূপা সরদারের নাম। সোমবার রাতে বারুইপুর থানার পুলিশ তাকে গল্ফগ্রিন এলাকার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ উদ্ধার করে সাড়ে ১৬ লক্ষ টাকা নগদ, ৪০ লক্ষ টাকার সোনার গহনা, চারচাকা একটি গাড়ি।
শতরূপা পেশায় আগে এক বারে ফিঙ্গারের কাজ করতেন। সেখানেই তাঁর আলাপ হয় তারকনাথের সঙ্গে। সূত্রের খবর, ‘পার্থ-অর্পিতা’ জুটির ছায়া পড়েছে এই প্রতারক যুগলের জীবনযাত্রাতেও। দামি গয়না, গাড়ি, নগদ টাকা—সব মিলিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন তাঁরা।
এই ঘটনায় বারুইপুর থানার পুলিশ আরও তদন্ত শুরু করেছে। তাদের সন্দেহ, এই প্রতারণার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে আরও কয়েকজন। জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে আসতে পারে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য।