
The Truth of Bengal: দেশের মধ্যে সবথেকে দূষণের মাত্রা বেশি দিল্লিতে। আর দিল্লির সেই দূষণের পেছনে অন্যতম কারণ, ক্ষেত জমিতে ফসল ওঠার পর চাষিরা জমিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। যার ফলে ব্যাপক মাত্রায় হচ্ছে বায়ু দূষণ। পশ্চিমবঙ্গকে এই প্রকার দূষণের হাত থেকে বাঁচাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য প্রশাসন। চাষীদের নিয়ে বিডিও অফিসে বৈঠক করেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। কিন্তু প্রশাসনিক সেই নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখে দেখিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালে চলছে অবাধে নাড়া পোড়ানোর কাজ।
চন্দ্রকোনা ১ ও ২ নম্বর ব্লক এ বিস্তীর্ণ এলাকায় চাষ জমি। মাঠ থেকে ধান উঠতেই শুরু হয়েছে এই নাড়া পোড়ানোর কাজ। প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা কি উপেক্ষা করুক কেন চাষিরা এই কাজ করছেন তার সদুত্তর দিতে পারেনি কোন চাষী। কয়েকদিন আগেই চাষীদের নিয়ে চন্দ্রকোনা এক নম্বর ব্লকের বিডিও অফিসে বৈঠক করেন মহাকুমা শাসক ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা সারের কালোবাজারি ও জমিতে নারা পোড়ানো হলে তার ক্ষতিকারক দিক নিয়ে আলোচনা হয় ওই বৈঠকে।
সরকারি আইন অনুযায়ী জমিতে নারা পোড়ালে শাস্তি হতে পারে তাও প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়। ঘাটাল মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস জানান আগামী দিনে প্রশাসনিক স্তরে আরো বেশি প্রচার অভিযান চালানো হবে। যাতে চাষীরা ক্ষেত জমিতে প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞাকে তোয়াক্কা না করে নাড়া না পোড়ান। পরিবারে পরিবেশ রক্ষার্থে প্রশাসনিক এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানায় পরিবেশবিদরা অন্যদিকে প্রশাসনের পাশাপাশি চাষীদের হুশ কবে ফিরবে? সে দিকে তাকিয়ে পরিবেশপ্রেমীরা।