রাজ্যের খবর

বিজ্ঞানে বিশ্বসেরা বাংলার ৫ গবেষক, জগত সভায় বাড়ল বাংলার গৌরব

5 world best researchers of Bengal in science, the glory of Bengal increased in the world meeting

Truth Of Bengal : বিজ্ঞান গবেষণায় বাংলার গৌরব বাড়ালেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা। বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীর সম্মান পেলেন দূরদর্শীও গুণী ৫অধ্যাপক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বজুড়ে সমীক্ষা করে এই সেরাদের স্বীকৃতি দিয়েছেন।এতে পুজোর আগে এই সুখবর মেলায় মালদার মতোই বাংলার নানা অংশের মানুষও গর্বিত।

একসময় কবি অতুলপ্রসাদ সেন,বলেছিলেন,বল বল বল সবে,ভারত আবার জগত্ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে।সেকথা এবার বাংলার বিজ্ঞানের সাধকরা প্রমাণ করছেন,নানা ক্ষেত্রে। বিশ্বসেরার তালিকায় জায়গা করে বাঙালির বুক ভরিয়ে তুলছেন উত্তরবঙ্গের অধ্যাপকও গবেষকরা। বলা যায়, জ্ঞানভিত্তিক বিশ্ব সভ্যতার অন্যতম স্তম্ভ ভারত। একসময়ে আর্যভট্ট, বরাহমিহিররা যে গর্বের ইতিহাস লিখেছিলেন তা পরবর্তী সময়ে চর্চার অভাবে হারিয়ে যায় বলে কালান্তর গ্রন্থে আক্ষেপ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।

সেই কারণেই ইউরোপের দেশগুলো ভারতের সৃষ্টির ওপর মেড ইন ইউরোপ স্ট্যাম্প মেরে দিতে সক্ষম হয়েছে বলেও কবি স্পষ্ট করেন।আর পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলার সরকার বিজ্ঞান চর্চায় বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।প্রশাসনের কর্তারা এই দাবি করে পরিকাঠামোর বিকাশ ঘটানোর কথা দেন।যারজন্য সুফল মিলতে শুরু করেছে।ভুবনায়নের যুগে বিজ্ঞানের ব্যাপ্তি যত হচ্ছে,বাংলার বিজ্ঞানীরা তত গৌরবের অধ্যায় রচনা করছে।যার উদাহরণ তৈরি করলেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা।মানব সম্পদকে   ব্যবহার করে  মালদার বিজ্ঞানীরাই এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরাদের তালিকায়।তাই গবেষণার মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে আনন্দের খবর ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য নতুন প্রজন্মকে তাঁরা আহ্বান জানাচ্ছেন।

জীববিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক শ্যামাপদ মন্ডল ছাড়াও  কৃতী অধ্যাপকরা হলেন স্বদেশ পাল,সুনীল সাহা ও অরজিৎ দাস।এছাড়াও রয়েছেন গণিত বিভাগের অধ্যাপক সনাতন দাস। যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবছর সারা বিশ্বের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানীদের মান নির্ধারণে এই যৌথ সমীক্ষা করে থাকে। গবেষণার উৎকর্ষতা, পেপার পাবলিকেশন সহ ৫৪টি ক্ষেত্রের মাপকাঠির ভিত্তিতে এই মূল্যায়ন হয়ে থাকে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর এই তালিকা প্রকাশিত হয়। সেই তালিকা সামনে আসতেই আজ গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে খুশির আবহাওয়া লক্ষ্য করা গেল।