গুহঠাকুরতা বাড়ির ৪০০বছরের কালীপুজো, উৎসব কেন্দ্র করে ভক্তদের উদ্দীপনা থাকে নজরকাড়া
Kalipujo 2023

The Truth of Bengal: বরিশালের বানোরি পাড়ায় বিরাট রাজার বংশধরদের পুজোয় ধুম লাগত।সাধারণ মানুষ সেই পুজোকে কেন্দ্র করে প্রচুর আনন্দ করত।পারিবারিক পুজো ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়।ওপার বাংলার মানুষ কালী আরাধনাকে সামনে রেখে সমাজের কল্যাণ কামনা করত।পরে ওপার বাংলার সেই পুজো এপার বাংলায় আলাদা ধুমধামের সঙ্গে আয়োজন করা হয়। দেশ ভাগের আগে বরিশালে বিরাট রাজার বংশধর এই পুজো চালু করে।
সেই থেকে বংশ পরম্পরায় চলে আসছে কালি পূজা।কথিত আছে, বরিশাল থেকে বাড়ির গৃহ দেবতা কে বুকে করে নিয়ে আসেন স্বর্গীয় নৃপেন্দ্র নাথ গুহঠাকুরতা।রানাঘাটে চাকরির সুবাদে কিছু দিন থাকার পর চাঁদুড়িয়াতে ১৯৪৩ সালের বাড়ি ও মন্দির তৈরী করেন তিনি।সম্ভবতঃ ৪৫ সাল থেকে পুজোপাঠ শুরু হয়। ২০০১ সাল থেকে পাঠা বলি বা পশু বলি বন্ধ হয়।তারপর থেকে এখন শসা, চাল কুম়ডো বা আখ বলি দেওয়া হয়।
আগে পুজোর সময় আসত সমস্ত আত্মীয়-স্বজন । যারা যেখানে থাকেন শুধু পুজোতে এসে উপস্থিত হতেন।এখন তো সবাই বিভিন্ন জায়গায় থাকে এখন আত্মীয়-স্বজন আসেন । আগের মত সবাইকে একসঙ্গে আর পাওয়া যায় না।এখন পাড়ার মানুষ এলাকার মানুষ এলাকার মানুষ এলাকার মানুষের মায়ের প্রতি সেখানে বাড়ির পুজো কিন্তু সার্বজনীন হয়ে গেছে।চাকদার এই ৪০০ বছরের কালীপুজোই এখন সর্বস্তরের মানুষের আনন্দের অনুষ্ঠান হয়ে ওঠে।তারই অপেক্ষায় নদিয়াবাসী।
Free Access