রাজ্যের খবর

গাছের ১০০ বছরের কারাবাস, সবুজের শিকল বাঁধা জীবন

100 years imprisonment of trees

The Truth of Bengal: গাছের প্রয়োজনীয়তা বুঝে আমরা বৃক্ষদেবকে পুজো করি। গাছের স্নেহছায়ায় লালিত-পালিত হওয়ার জন্য তাঁকে আদর করি।কিন্তু কখনও কী শুনেছেন, গাছের কারাবাস হয়েছে? গল্প মনে হলে সত্যি,যে ডুয়ার্সের নাগরাকাটার এক পরিবেশপ্রেমী মানুষ, বড় গাছের দাদাগিরি দেখে তাকে শিকল  দিয়ে বন্দি করে রেখেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সন্তানের মতো একশবছর ধরে গাছটিকে তিনি পালন করবেন। ছত্তিশগড়ের কোরেয়ায় গাছ খেয়ে নেওয়ার অপরাধে এক ছাগল ও তার মালিককে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু সেই গাছের যে কারবাস হতে পারে,তা আগে কখনও ভাবা যায়নি। এবার সেটাই সত্যি দেখা গেল জলপাইগুড়ির ডুয়ার্সের নাগরাকাটায়।

কেন গাছের এই কারাবাস ? তাও আবার এক আধবছর নয়,একশবছর ? আসলে একটি বড় জংলি গাছ অন্য গাছেদের বেড়ে উঠতে না দিয়ে অকালেই বধ করছে।তাতে নাগরাকাটা বেসরকারি পার্কের ভেতরের বাগানে থাকা অন্য গাছেরা, অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়ে। তাই পরিবেশপ্রেমী এই মানুষটির প্রশ্ন,মানুষ যদি মানুষকে খুন করে তাহলে শাস্তি দেওয়া হয়,কেন গাছেদের ক্ষেত্রে একই সাজা প্রয়োগ হবে না। সেই কারণেই ডুয়ার্সের শেখ জিয়াউর রহমান ওই বড় গাছটিকে শিকল ও বেরি পরিয়ে গ্রেফতার করেছেন। একশ বছরের জন্য গাছটিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কেন এভাবে আনুষ্ঠানিকভাবে গাছটিকে গ্রেফতার করা হয়? শেখ জিয়াউর রহমান জানান, গাছটিকে গ্রেফতার করার মাধ্যমে ১০০ বছরের জন্য সেই গাছটির দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে।

পরের প্রজন্ম এই গাছটি রক্ষণাবেক্ষণ করবে।পরিবেশ রক্ষার বার্তা দিতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন। যদিও পরিবেশপ্রেমীদের একাংশের  প্রতিক্রিয়া, এইভাবে গাছে শিকল কিংবা বেরিয়ে পরিয়ে আটকে রাখা যায় না। আগে এভাবে কোনও গাছকে গ্রেফতার হতে দেখা যায়নি। শোনা যায় পরাধীন ভারতে এক ব্রিটিশ সাহেব একটি বটগাছকে ঠিক একইভাবে গ্রেফতার করেছিল। কেননা সেই বটগাছ ক্রমশ তার বাড়ির দিকে এগিয়ে আসছিল। বর্তমান সময়ে আবার সেই গাছকে বন্দি করে রাখার ভাবনা সত্যিই অভিনব।

Related Articles