Uncategorizedরাজ্যের খবর

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Mamata Banerjee questioned the validity of the Citizenship Amendment Act

সিএএ লাগু করার জন্য সোমবারই কেন্দ্র বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এবার হাবরার সভা থেকে সেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির ভাঁওতা  বলে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী ।অসমের ১৩লক্ষ বাঙালির এনআরসি যন্ত্রণার কথা তুলে  তাঁর অভিযোগ, বাংলাকে ভাগ করতে বাঙালিকে সঙ্কটে ফেলার এটা নতুন করে চক্রান্ত। রাজ্যবাসীকে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস,জীবন থাকতে তিনি সিএএ-এনআরসি কার্যকর করতে দেবেন না,কাউকে ডিটেনশন ক্যাম্পের যন্ত্রণা ভোগ করতে দেবেন না।

চব্বিশের ভোটে বিজেপির তুরুপের তাস সিএএ। সোমবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সিএএ বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লাগু করা হয়েছে। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয়   নিপীড়নের জন্য এ দেশে আসা শরণার্থী বা উদ্বাস্তুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা আইনে উল্লেখ   ।  প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টি সিএএ-তে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও এই আইনে মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত যেসব মানুষ এদেশে এসেছেন তাঁদের কথা একেবারে উল্লেখ নেই।   মতুয়াগড়ে দাঁড়িয়ে এবার সেই কেন্দ্রীয় আইনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।একইসঙ্গে সুর চড়িয়ে প্রশাসনিক প্রধানের তোপ,  মতুয়াদের উদ্দেশে তাঁর সতর্কবার্তা, সিএএ-  নিয়ে কোনও স্পষ্টতা নেই। এই আইনে নাগরিকত্ব পাওয়ার আবেদন করলে সব হারানোর  রাস্তা খোলা থাকছে। হাবড়ার সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,সুর চড়িয়ে বলেন,    “এই আইনে কোনও স্পষ্টতা নেই। পুরোপুরি ভাঁওতা। ২০১৯ সালেও করেছিল অসমে সিএএ-এনআরসি। ১৯ লক্ষ মানুষ বাদ গিয়েছিল, তার মধ্যে ১৩ লক্ষ হিন্দু বাঙালি।এখন সেই বাংলা ভাগ করতে বাঙালিদের সঙ্কটে ফেলতে নতুন মোড়কে সিএএ আইন আনা হচ্ছে।তাই মুখ্যমন্ত্রী সিএএ পোর্টালে আবেদনের আগে মতুয়াদের দ্বিতীয়বার ভেবে দেখার আবেদনও জানান

মমতার বক্তব্য,”এই আইনে দরখাস্ত করলে নাগরিক থাকা সত্ত্বেও বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হয়ে যাবেন। তাহলে আপনাদের চাকরির কী হবে? সম্পত্তি কী হবে? ছেলেমেয়ের কী হবে? আবেদন করলে আপনার সব অধিকার কেড়ে নেবে। আগে আপনারা ভোট দিয়েছেন কি দেননি? আধার কার্ড আছে কি নেই? এই আইনটাই যেই আপনি দরখাস্ত করবেন, আপনি অবৈধ নাগরিক হয়ে যাবেন। আপনার কোনও অধিকার পাবেন না।”

২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নিপীড়নের জন্য এ দেশে আসা শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ওই দেশগুলি থেকে হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টি সিএএ-তে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও এই আইনে মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্তদের কথা বলা হয়নি। অর্থাৎ ওই ছয় সম্প্রদায় ছাড়া পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান বা অন্য কোনও দেশ থেকে আসা অন্য কোনও সম্প্রদায়ের শরণার্থীকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না।

Related Articles