
The Truth of Bengal: আন্দামান যাওয়ার ইচ্ছে আছে? কিন্তু খরচার জন্য ইচ্ছে থাকলেও যেতে পারছেন না তাহলে ঘুরে আসুন কলকাতার খুব কাছেই অবস্থিত এক দ্বীপ থেকে । শান্ত গতিতে বয়ে চলা নদীর মাঝে অবস্থিত ছোট্ট এক দ্বীপ যার নাম সবুজ দ্বীপ। বেহুলা ও হুগলী নদীর সংযোগস্থলে রয়েছে এই দ্বিপটি। দ্বীপের দুধারে রয়েছে পাম-মেহগনি-পাইন গাছের সারি। সূর্যের আলো নদীতে পড়লে ঝিলমিল করে ওঠে নদীর জল , অনেকে আবার এই নদীর ধারে বসে মাছ ধরতে নামে, শহরের ভিড় কোলাহল ছেড়ে কে না চায় এইরুপ মনোরম দৃশ্য কাছে থেকে দেখতে। প্রকৃতির এই অপরূপ দৃশ্য দেখতে গেলে আপনাকে অবশ্যই ঘুরে আসতে হবে সবুজ দ্বীপ থেকে।অনেকেই হয়তো জানেন না সবুজ দ্বীপ কলকাতার খুব কাছেই অবস্থিত।
অ্যাডভেঞ্চার প্রেমিদের কাছে এই সবুজ দ্বীপ সেরা টুরিস্ট স্পট। দ্বীপের চারপাশ ঘুরে দেখতে পারবেন নৌকা করে। এই দ্বীপে কোন জোয়ার দেখতে পাবেন না কারন হুগলী নদীর ওপর চড়া পড়ে তৈরি হয় এই দ্বীপ। এখানে কোন জনবসতি নেই। পিকনিক স্পট হিসাবে গুটি কয়েক খাওরের দোকান রয়েছে এই দ্বীপে। দ্বীপের কাছেই রয়েছে একটি ওয়াচ টাওয়ার যেখান থেকে দ্বিপটিকে দেখতে অপূর্ব সুন্দর লাগে। সবুজ দ্বীপে গেলে আপনি আপনি সেখান থেকে গিয়ে দেখে আসতে পারেন আনন্দময়ী মাতার মন্দির। কথিত আছে এই মন্দির দেখার পরই করুণাময়ী রানি রাসমনি দক্ষিণেশ্বর মন্দির বানানোর পরিকল্পনা করেন।
৩৫০ বছরের পুরনো এই মন্দিরে দেখতে পাবেন নিখুঁত টেরাকোটার কাজ। আটচালার মন্দিরে রয়েছে আনন্দময়ী মাতার মূর্তি। এছাড়াও দেখারে মত আরও কিছু স্থান রয়েছে যেমন নবরত্ন মন্দির, পঞ্চরত্ন মন্দির, দ্বাদশ শিবমন্দির সহ আরও কত কি । কিভাবে যাবেন ভাবছেন তো? কলকাতা থেকে মাত্র দেড় ঘণ্টার দূরত্বে রয়েছে সবুজ গ্রাম। ব্যান্ডেল লোকালে চড়ে নামতে হবে সোড়মা স্টেশনে। সেখান থেকে নেমে টোটো করে পৌঁছে যান ফেরিঘাট। যাওয়ার পথে রাস্তায় পড়বে আনন্দময় মন্দির। ফেরিঘাট থেকে নৌকা করে পৌঁছে যান সবুজ দ্বীপ। সারা দিন দ্বীপের মধ্যে থেকে আশেপাশের দর্শনীয় স্থান দেখে ফিরে আসুন নিজের গন্তব্যে, যদিও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।
Free Access