
The Truth of Bengal: বাংলার অন্যতম ঐতিহ্যের শহর চন্দননগর। একসময় চন্দননগর ছিল ফরাসিদের উপনিবেশ । এখনও গঙ্গা পাড়ে রয়েছে এই সব উপনিবেশের ধ্বংসাবশেষ। চন্দননগরের পড়তে পড়তে লুকিয়ে রয়েছে ইতিহাসের ছোঁয়া। ভারতের স্বাধীন হওয়ার লড়ায়ে বিশেষ অবদান ছিল চন্দননগরের। চন্দননগরের একাধিক স্টুরিস্ট স্পটের মধ্যে অন্যতম হল চন্দননগর ডুপ্লেক্স মিউজিয়াম। ফরাসিদের নানান ইতিহাস সংরক্ষিত রয়েছে এই মিউজিয়ামে। বিপ্লবীদের ছবির পাশাপাশি রয়েছে , মূর্তি, পুরনো খবরের কাগজের পাতা।
দেখতে পাবেন ফরাসি আমলের বই এবং ভাস্কর্য।মিউজিয়ামের প্রবেশ দ্বারের সামনে দেখতে পাবেন সুবৃহৎ একটি কামান। এছাড়াও মিউজিয়ামের দু ধারে রয়েছে আরও দুটি কামান। মিউজিয়ামের ভিতরে সর্ব প্রথম যে কক্ষ টি সামনে পড়ে সেটি হল ফরাসি গভর্নরের শয়ন কক্ষ। দেখতে পাবেন হাজারো প্রাচীন নথি থেকে শুরু করে তালপাতায় লেখা পুঁথি। মিয়জিয়ামের ছাদ থেকে দেখা যায় গঙ্গার চন্দ্রাকৃতি বাঁক।
ফরাসি আমলে এই অঞ্চল থেকে চন্দন কাঠের ব্যবসা করত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। গভর্নর মশিয়ে ডুপ্লেক্স এর বাসগৃহ ছিল এই বাড়িটি। কিভাবে যাবেন এই প্রাচীন ফরাসি দেশে? হাওড়া স্টেশন থেকে বর্ধমান গামী অনেক ট্রেন আছে । বর্ধমান, কাটোয়া বা ব্যন্ডেল লোকাল ধরে পৌঁছে যান চন্দননগর। স্টেশন থেকে কিছুটা গিয়েই পৌঁছে যাবেন এই মিউজিয়ামে। থাকার জন্য পেয়ে যাবেন শ্রী গেস্ট হাউস, ফ্লাগশিপ হোটেল রেড ভেলবেট, দ্যা ভেদাম রিসোর্ট ইত্যাদি থাকার জায়গা তাই রাত্রি যাপনের ক্ষেত্রে আপনার কোন অসুবিধা হবে না ।
Free Access