মহাকাল ধাম মন্দির, এখানে হাতিদের পুজো হয় সারা বছর
Mahakal Dham Temple, where elephants are worshipped throughout the year

Truth of Bengal: উত্তরবঙ্গে প্রকৃতি ঢেলে সাজিয়ে তুলেছে নিজেকে। যাঁরা জঙ্গল ভালোবাসেন তাঁদের কাছে সব সময়ই পছন্দের ডেস্টিনেশন হল জলপাইগুড়ির গোরুমারা জাতীয় অভয়ারণ্য। এই গোরুমারা অঞ্চলেই রয়েছে মহাকাল মন্দির। এখানে সারা বছর হাতিদের পুজো করা হয়। হাতিকে অনেকে ‘মহাকাল’ বলে অভিহিত করেন। পর্যটকরা যেমন ডুয়ার্সের জঙ্গলের বন্য সৌন্দর্য ও বন্যপ্রাণী দর্শনের জন্য সারাবছর গোরুমারায় আসেন তেমনই বহু পুণ্যার্থী ভিড় জমান গোরুমারা জাতীয় অভয়ারণ্যের বুক চিরে চলে যাওয়া ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের অধীনে লাটাগুড়ি-চালসা রোডের ওপর অবস্থিত মহাকাল ধাম মন্দিরে।
জলপাইগুড়ির জাগ্রত এই মন্দিরে রয়েছে এক অজানা রহস্য রয়েছে। এই মন্দিরে আসলেই আপনার হাতের অ্যানালগ ঘড়ির সঙ্গে ডিজিটাল স্মার্টফোনের সময়ের তারতম্য ঘটে আধ ঘণ্টার। জায়গাটি ছেড়ে কয়েকশো মিটার এগিয়ে গেলেই আবার সব ঠিকঠাক হয়ে যায়। মহাকাল ধাম মন্দিরের কাছে সময়ের তারতম্য ঘটার কথা স্বীকার করেন গোরুমারা জাতীয় অভয়ারণ্যের বন আধিকারিকরাও। তবে এটা কোনো বিচ্ছিন্ন অতিপ্রাকৃত বা ভৌতিক ব্যাপার নয়। এর পেছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক কারণ।
এর পেছনে রয়েছে জিওম্যাগনেটিজমের কারণ। বিশেষজ্ঞরা জানান, মহাকাল মন্দির রয়েছে ইউরেশিয়ান আর ইন্ডিয়ান টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলের কাছে। এখানে শক্তিশালী ম্যাগনেটিক ওয়েভ সক্রিয় হয়। ফলে ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ড টাইম নয় ঘড়ি ভুটানের সময় ধরে নেয়। ভুটানের কিছু অংশ ইউরেশিয়ান প্লেটে আর কিছু অংশ ইন্ডিয়ান প্লেটের ওপর অবস্থিত। ম্যাগনেটিক ওয়েভের কারণে অ্যানালগ হাত ঘড়ির সময় আধ ঘণ্টা এগিয়ে যায়।
হাতি হল দেবতাদের ‘ইঞ্জিনিয়ার’ বলে পরিচিত বিশ্বকর্মার বাহন। প্রতি বছর পশ্চিমবঙ্গ বন দফতর বিশ্বকর্মা পুজোর দিন গোরুমারা জাতীয় অভয়ারণ্যের কুনকি হাতিদের পুজো করা হয়, সম্মান জানানো হয় ধূপঝোরা পিলখানায়। কুনকি হাতিদের মূর্তি নদীতে স্নান করিয়ে রঙচঙে জিনিস দিয়ে সাজানো হয়। বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয় গজরাজের জন্য।