ভ্রমণ

দার্জিলিংয়ের সুইৎজারল্যান্ড কিজোম

Kizom, the Switzerland of Darjeeling

Truth of Bengal: গরমে নাজেহাল জনজীবন। রোজকার কর্মব্যস্ত জীবন থেকে মুক্তি পেয়ে শরীর ও মন চাঙ্গা হতে চাইছে? কয়েক দিনের ছোটোখাটো ছুটিতে আপনার গন্তব্য হতেই পারে উত্তরবঙ্গের একেবারে অচেনা অজানা অফবিট পর্যটন কেন্দ্র ‘কিজোম’। এখানে হাত বাড়ালেই কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা আপনি পাবেন না, এখানে মেঘেরা গাভীর মতো চরে না, আপন ছন্দে ছলাৎছলাৎ শব্দ করে বয়ে চলে না তিস্তা নদী। তবে কিজোমের শান্ত নিরিবিলি পরিবেশ আপনার মন টানবেই। দার্জিলিং থেকে মাত্র এক ঘণ্টার যাত্রাপথে পৌঁছনো যায় কিজোমে। শান্ত নিরিবিলি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঢাকা কিজোমকে বলা হয় দার্জিলিংয়ের সুইৎজারল্যান্ড।
পাহাড় সুন্দরী দার্জিলিংয়ের মতো ঘিঞ্জি নয় কিজোম। এখনো সেভাবে পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়নি বলে অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে হাতের নাগালের মধ্যে উপভোগ করা যায়। এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কাঠের বা পাথরের তৈরি ছোটো ছোটো কুঁড়ে ঘর। সিকিম ও বাংলার সীমানার কাছে থাকা কিজোম হাইকিংয়ে জন্য আদর্শ। পাহাড়ের পাকদণ্ডী বেয়ে যাওয়া যায়। আপন ছন্দে ছলাৎছলাৎ শব্দ করে বয়ে চলেছে রঙ্গিত নদী। শান্ত নদীর তীরে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দেওয়া যায়। রঙ্গিত নদীর অপর প্রান্তে রয়েছে সিকিমের ২ গ্রাম জোরথাং ও দারমাদিন।
শান্ত সুন্দর প্রত্যন্ত গ্রাম কিজোমে এসে থাকুন হোম স্টে তে। পাহাড়ি গ্রাম্য জনজীবনকে ভালো করে উপভোগ করতে পারবেন। পাহাড়ি মানুষ হাসিমুখে আপনাকে স্বাগত জানাবেন। দার্জিলিং পাহাড়ে আসলেই সকলে স্কোয়্যাশের তৈরি জ্যুস, জ্যাম, স্ক্যোয়্যাশ কেনেন। দার্জিলিলয়ের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ও বেশি পরিমাণে স্কোয়্যাশের চাষ হয় কিজোমের পাহাড়ি ঢালে।
দার্জিলিংয়ের অফবিট পর্যটন কেন্দ্র কিজোমেই রয়েছে ২৫০ বছরের পুরনো বৌদ্ধ গুম্ফা ও মনেস্ট্রি। আনুমানিক ১৭৬০ সালে তিব্বত থেকে আসা তেন্দুক রাজাদের আমলে নির্মিত হয় কাঠের তৈরি নেজি মনেস্ট্রি। ধ্যানের জন্য ব্যবহার করা হত প্রাচীন এই বৌদ্ধ গুম্ফাকে। তিব্বতি শৈলীতে নির্মিত কিজোমের নেজি মনেস্ট্রি এক সময় তেন্দুক রাজাদের রাজপ্রাসাদ হিসাবে ব্যবহৃত হত।

কীভাবে যাবেন?

দার্জিলিং থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে কিজোম। বিজনবাড়ি, দার্জিলিং বা শিলিগুড়ি থেকে গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যেতে পারবেন।

Related Articles