ভ্রমণরাজ্যের খবর

রাজার শহরে রাজকীয় অনুভূতি পেতে চলে আসুন কোচবিহারে

Tourism of West Bengal

The Truth of Bengal: সময় করে ঘুরে আসুন রাজার শহরে। যে শহরের পরতে পরতে লেখা আছে ইতিহাস। আর যদি পুজোয় রাজার শহরে যেতে পারেন, তা হলে বাড়তি পাওনা বড়দেবীকে দর্শন। আজ আপনাদের নিয়ে যাব কোচবিহার শহরে। এই শহরকে বলা হয় রাজার শহর। যেখানে রয়েছে রাজবাড়ি, মদনমোহন মন্দির। সাগরদিঘির পাড়। তবে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মদনমোহন মন্দির। এই মন্দির দেখলে অনেকেরই রোমের সেন্ট পিটার্স গির্জার কথা মনে পড়ে যাবে। অপূর্ব স্থাপত্য আর তার সঙ্গে জড়িয়ে আছে রাজ আমলের ইতিহাস। মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণের আমলে ১৮৮৫-১৮৮৯ সালে তৈরি হয়েছিল এই মন্দির। শ্বেতশুভ্র মন্দির। এই মন্দিরেই রয়েছেন কোচবিহারবাসীর প্রাণের ঠাকুর শ্রী মদনমোহন। প্রতিবছর রাসযাত্রা, দোলযাত্রা ও জন্মাষ্টমীতে এখানে উৎসবের চেহারা নেয়।

এছাড়া দুর্গাপুজোয় যদি রাজার শহরে হাজির থাকতে পারেন তা হলে দেবী বাড়িতে গিয়ে বড়দেবীকে দর্শন করার সুযোগও মিলবে। ভক্তদের বিশ্বাস মন থেকে ডাকতে পারলে মনস্কামনা পূরণ করেন বড়দেবী। বড়দেবীকে দর্শন করে কাছেপিঠে হেরিটেজ মন্দিরগুলি দেখে নিতে পারেন। যার মধ্যে রয়েছে ব্রাহ্মমন্দির, ডাঙ্গরাই মন্দির, কামতেশ্বরী মন্দির। এরপর  চলে যেতে পারেন বাণেশ্বর মন্দির দর্শনে। দিনশেষে সন্ধ্যেবেলায় ফের মদনমোহন মন্দিরের আরতি দেখার অনুভূতি হবে অন্যরকম। কোচবিহার বেড়ানোর জন্য দু’দিনের পরিকল্পনা করে ঘুরে আসতে পারেন রাজার শহর।

কীভাবে যাবেন?

কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাস আছে অথবা গুয়াহাটিগামী যে কোনও ট্রেনে নিউ কোচবিহার স্টেশন নেমে পৌঁছে যেতে পারেন রাজার শহরে। বাস বা ট্রেনে রাতে কোচবিহারে পৌঁছে পরের দিনের শহরের দ্রষ্টব্য জায়গাগুলি ঘুরে দেখতে পারেন।

 

Related Articles