নায়িকা থেকে সাধারণ মানুষ, রাজবাড়ির ত্রিসীমানায় পা রাখতে ভয় পান! কোথায় আছে এই ভুতূড়ে হাভেলি?
Baruipur Rajbari

The Truth of Bengal: ঘুরতে যেতে ইচ্ছা করছে ? তবে দূরে কোথাও যেতে চান না , তবে ঘুরে আসুন দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার বারুইপুর জনপদ থেকে। সাধারণত পেয়ারার জন্য বিখ্যাত বারুইপুর। তবে বারুইপুরের আনাচে কানাচে লুকিয়ে রয়েছে অনেক অজানা রহস্য। মঙ্গল কাব্যেও উল্লেখ পাবেন বারুইপুরের কথা। ইতিহাস ঘাটলে জানতে পারবেন নীলাচলে চলে যাবার পথ বারুইপুরে পা পড়েছিল শ্রী চৈতন্য দেবের। আদি গঙ্গার ঘাটে বসে সারা রাত কীর্তন করেন তিনি। শ্মশানের ধারেই ওই ঘাটের নাম ছিল কীর্তনখোলা ঘাট। ১৮৬৪ সালে বারুইপুর আদালতে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদে যোগ দিয়েছিলেন।বারুইপুরে রয়েছে শতাব্দীর প্রাচীন এক রাজবাড়ি। কথিত আছে রাজবল্লভ চৌধুরী নবাবের কাছ থেকে বোন হিসেবে এক সুবিস্তৃত জমি পান। জমিটি ছিল বারুইপুর থেকে সুন্দরবন পর্যন্ত বিস্তৃত।
রায়চৌধুরী উপাধি পাওয়ার পর রাজা রাজ বল্লভ রায় চৌধুরী লোড কর্নওয়ালিসের সময় বিদেশি কোম্পানিকে দিয়ে এক বিশাল রাজবাড়ি তৈরি করান। ১২ মাসে তেরো পার্বণ চলত ওই রাজবাড়ীতে। দুর্গাপূজা থেকে রথযাত্রা সবকিছুই রাজকীয়ভাবে পালিত হতো।রাজবাড়ীর চারপাশটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। রয়েছে এক সুন্দর ঠাকুর দালান। দালানের সিঁড়িতে রয়েছে তুলি দিয়ে আঁকা সুন্দর আলপনা। রাজা রাজবল্লব রায় চৌধুরী প্রায় ৩০০ বছর আগে রাজবাড়িতে দুর্গাপুজোর প্রচলন করেছিলেন। কিছু এই রাজবাড়িতে অনেক পরিচালকই আসে সিনেমা বানাতে।প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি এই রাজবাড়ীতে রয়েছে গা ছমছমে পরিবেশ।
সন্ধে নামলেই রাজবাড়ীর আশেপাশের বাসিন্দারা ভয় পান ওই এলাকা দিয়ে যাতায়াত করতে। যদি ও কেউ কখনো অশরীরী আত্মাকে চোখে দেখতে পায়নি তবুও নায়িকা থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই অনুভব করেছেন এই রাজবাড়ীতে ভুতুড়ে কান্ড রয়েছে। আপনি যদি চান পুজোর আগে এই ভুতুড়ে জায়গা এক্সপ্লোর করতে তাহলে এই উইকেন্ড আসলে ঘুরে আসুন বারুইপুর রাজবাড়ী থেকে। ভাবছেন কি করে যাওয়া যায় ? শিয়ালদা থেকে বারুইপুর যাওয়ার অসংখ্য ট্রেন রয়েছে। এছাড়াও সড়কপথে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস রোড ধরে কামালগাজি বাইপাস হয়ে বারুইপুর পৌঁছতে পারবেন। বারুইপুরে থাকার জন্য রয়েছে অসংখ্য হোটেল এবং লজ। এছাড়াও রয়েছে স্বভূমি গেস্ট হাউস, কেয়া পাতা নৌকা, হোটেল গ্যালাক্সি প্রভৃতি।
Free Access