হাতের মুঠোয় এক টুকরো আকাশ! ঘুরে আসুন বাংলা-ভুটান সীমান্তের এই পাহাড়ি গন্তব্য থেকে
A piece of sky in the hand! Visit this hilly destination on the Bengal-Bhutan border

The Truth of Bengal : ‘আজ মে উপার, আসমা নীচে’। সত্যি কোন পার্বত্য উপত্যকায় গেলে আকাশটা মনে হয় নীচে নেমে এসেছে। একটু হাত বাড়ালেই এই আকাশকে হাতের মুঠোয় পাওয়া যাবে। তবে এমন জায়গা রয়েছে কোথায়? অনেকের মনে হয়তো এই প্রশ্নই জাগছে। বাংলা ভুটান সীমান্তে অবস্থিত এই রকম একটি ছোট্ট গ্রাম রয়েছে যার নাম সামসিং। পশ্চিম ডুয়ার্সের অন্যতমও পর্যটন কেন্দ্র এই সামসিং। চা এবং কমলালেবুর চাষ হয় এই সামসিং এ। পুরো পাহাড়ি উপত্যকায় সবুজে ঢাকা। কোথাও আবার চোখে পড়বে কমলা রঙের আভা। এখানে প্রচুর পাখি দেখার মজাও উপভোগ করা যায়। অজানা অচেনা পাখিদের কলতান শুনতে শুনতে পাহাড়ি পথ ধরে হেঁটে বেড়াতে মন্দ লাগেনা।
এই সামসিং কে পর্যটনের দিক থেকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য এলাকা পরিদর্শন করে গেছেন আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের নবনির্বাচিত বিজেপি সাংসদ মনোজ টিগ্গা। সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। তিনি সাধারণ মানুষদের জানিয়েছেন সামসিংয়ের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সাথে কথা বলা হবে। কিন্তু এই বিষয়ে কবে আলোচনা করা হবে? তা নিয়ে রাজ্যের শাসক দলের তরফ থেকে উঠছে নানা প্রশ্ন। এই বিষয়ে মেটেলি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী তথা জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ সদস্যা ম্নোমিতা কালান্দি বলেছেন মেটেলি হাট গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সামসিংয়ে আই লাভ সামসিং ফলক ও একটি হোমস্টে তৈরি করা হয়েছে।
জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে যোগাযোগের জন্য রাস্তা এবং সামসিং এলাকার সৌন্দর্যায়ন আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। তিনি আরও দাবি করেছেন এর আগের বিজেপি সাংসদ কিছুই করেননি সামসিং এর পর্যটন শিল্পের উন্নতির জন্য। ইনি নতুন সাংসদ হয়েছেন তাই কিছু বলতে হয় বলে বলেছেন। ভ্রমণপিপাসুরা সবসময় খোঁজেন অজানা অচেনা ডেস্টিনেশন ভ্রমণে। আর সামসিং এইরকমই এক নিরিবিলি পাহাড়ি গন্তব্য যেখানে পর্যটকরা গিয়ে দুদণ্ড শান্তি খুঁজে পাবেন। সামসিং কে প্লাস্টিক মুক্ত করার বিষয়েও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। এই সামসিং যেতে গেলে আপনাকে প্রথমে পৌঁছতে হবে শিলিগুড়ি। সেখান থেকে বাসে বা গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যেতে পারবেন এই সামসিং এ। এখানে থাকার জন্য বনদফতরের নিজস্ব বাংলো রয়েছে। তাছাড়াও বহু হোটেল ও লজ রয়েছে এখানে।