ভ্রমণ

নদীর নামে পাহাড়ি গন্তব্য, যাবেন নাকি সেখানে?

A hilly destination named after a river, should you go there?

Truth Of Bengal : জীবনটা দিন দিন যেন রোবর্টের মতো হয়ে উঠছে? সকাল থেকে উঠে অফিসে যাওয়া, অফিস থেকে বাড়ির কাজ, আবার পরের দিন সকালে অফিস যাওয়া। এইভাবে জীবনে কোন আনন্দই উপভোগ করা যাচ্ছে না। যাদের জীবন এইভাবে ক্রমাগতও চলতে আছে তাদের প্রয়োজন ভ্রমণে গিয়ে একটু রিফ্রেশ হওয়া। কিন্তু যাবেন কোথায়? অল্প খরচে পৌঁছে যান ডালিমখোলায়। এই পাহাড়ি গন্তব্য অবস্থিত দার্জিলিং জেলায়। যা গুরুবাথান ব্লকের অন্তর্গত। এই পাহাড়ি উপত্যকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে আপনি মুগ্ধ হতে বাধ্য।

পাহাড়ে যাওয়ার নেশা ভ্রমণ পিপাসুদের বরাবর তাড়া করে। সমুদ্র বা জঙ্গলে ভ্রমণে গেলে সে এক অন্য অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকা যায়, কিন্তু পাহাড় ভ্রমণ মানেই সেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং অ্যাডভেঞ্চারে পুরো ভরা ট্রিপ। এই ডালিমখোলায় কেবল লুকিয়ে নেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সবুজে ঢাকা আবরণের মধ্যে লুকিয়ে আছে বহু অজানা ইতিহাস। বছরের পর বছর ধরে রাজার হত্যার স্মৃতি বহন করে চলেছে এই পাহাড়ি উপত্যকা। রয়েছে এক ফোর্ট, যার নাম ডালিম ফোর্ট। বহু বছর আগে এখানে শাসন করতেন লেপচা রাজা গেইবো আচিওক। এই পাহাড়ি অঞ্চলের উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০০০ ফুট উঁচুতে। বর্তমানে ওই অঞ্চলে পড়ে রয়েছে সেই দুর্গের ধ্বংসাবশেষ।

এই পাহাড়ি পরিবেশের মধ্যে আপনি মন খুলে শ্বাস নিতে পারবেন। চারপাশে তাকালেই দেখতে পাবেন মেঘ। এই মেঘের মধ্যে আপনি চাইলে লুকিয়েও থাকতে পারেন। দূরের দিকে তাকালে দেখা যাবে সোনালী রঙের পাহাড়। আসলে সূর্যের কিরণ যখন এসে পড়ে পাহাড়ের গায়ে তখন পুরো পাহাড়ি পরিবেশটাই হয়ে ওঠে সোনালী রঙের। এই ডালিম খোলা দিয়ে বয়ে চলেছে ডালিমখোলা নদী। সেই নদীর বয়ে যাওয়া শব্দ কানে ভেসে আসবে আপনার। এই নদীর পাড়ে বসে নদীর জলে পা ডুবিয়ে রেখে আপনি আনায়াসেই দুই পাহাড়ের ফাঁক থেকে দেখে নিতে পারবেন সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য। চারপাশে নানা রঙের ফুলের বাহার, সেই ফুল গুলিকে দোল খেতে দেখা যায় পাহাড়ি শীতল হাওয়ায়। ভাবছেন কিভাবে যাবেন? ট্রেনে করে পৌঁছে যেতে হবে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন। সেখান থেকে গাড়িভাড়া করে দিব্যি পৌঁছে যেতে পারবেন ডালিমখোলায়। থাকার জন্য এখানে পেয়ে যাবেন হোমস্টের ব্যবস্থা। তাই দেরি না করে সামনের গরমের ছুটি পড়লেই ঘুরে আসুন এই ছোট্ট পাহাড়ি উপত্যকা থেকে।