
The Truth of Bengal: শুক্রবার দুপুর ২.৩৫ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে চাঁদে পাড়ি দেয় চন্দ্রযান ৩। এমন একটা ঐতিহাসিক দিনে সফল উৎক্ষেপণের আনন্দে বিভোর যখন গোটা দেশ, তখন উত্তরদিনাজপুরের আশ্রমপাড়াতে আনন্দটা ছিল একটু ভিন্ন মাত্রায়। কারণ এই পাড়ার এক বাসিন্দা অনুজ নন্দী ইসরোর এক কর্মী। তিনি নির্মাণ করেছেন চন্দ্রযান তিনের ক্যামেরা।
সেই ক্যামেরাই চাঁদের মাটি ও মহাকাশের নানা ছবি তুলে পাঠাবে ইসরোতে। তারপর ইসরোর সৌজন্যে তা দেখবে গোটা ভারতবাসী। শুক্রবার চন্দ্রযান থ্রি তার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করতেই, খবর ছড়িয়ে পড়ে ইসলামপুরে। খুশির হাওয়া হয়ে যায় নন্দী পরিবারেও। গোটা শহরজুড়ে মানুষ আজ গর্বিত যে তাঁদের পাশের বাড়ির অনুজকে নিয়ে। অনুজের সাফল্যে খুশি গোটা ইসলামপুর। তাঁর পরিবারের প্রত্যেক সদস্য এদিন অধীর আগ্রহে বসেছিলেন কখন ছাড়বে চন্দ্রযান।
সব কিছু ঠিকঠাক চললে তা ২৩ অথবা ২৪ অগাস্ট চাঁদের মাটি ছোঁবে চন্দ্রযান থ্রি ল্যান্ডার বিক্রম। চাঁদের মাটি ছুঁলে ভারত পৌঁছে যাবে ইতিহাসে। কেননা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চিনের পর ভারত হবে চতুর্থ দেশ, যারা পা রাখবে চাঁদের বুকে। চন্দ্রযান ২ ব্যর্থ হয়েছিল। চাঁদের মাটিতে বিক্রম ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। এবার সেই ব্যর্থকতা মুছে নতুন ইতিহাস রচনা করতে চলেছে ইসরো। আর সেই ইতিহাসে জুড়ে গিয়েছে বাংলার নামও।