রিঙ্কুর বাউন্ডারি সেভটাই ম্যাচ জয়ের টার্নিং পয়েন্ট
Rinku boundary safety was the turning point in winning the match

Truth Of Bengal: ইন্দুভূষণ রায়, প্রাক্তন ক্রিকেটার: রবিবার আইপিএল-এ কেকেআর বনাম রাজস্থান রয়্যালসের একটা রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ দেখলাম। এক কথায় দারুণ। ম্যাচের পড়তে পড়তে ছিল টানটান উত্তেজনা। ম্যাচের শেষ ওভার অবধি যেন সবার নজর ম্যাচের দিকে। কেউ কোনও দৃষ্টি সরাচ্ছেন না। সত্যিই কথা বলতে কি আমিও তাঁদের দলেই ছিলাম। শেষ কবে এইরকম ম্যাচ দেখেছি তা আজ আর মনে নেই। তবু শেষ পর্যন্ত নাইটরা ম্যাচ জেতায় আমি খুশি হয়েছি।
এই ম্যাচের আগে আমি বার বার একটা কথা পরিষ্কার করে বলেছিলাম, নাইটদের যে ব্যাটিং লাইনআপ তাতে করে আন্দ্রে রাসেলকে ওপরের দিকে তুলে আনা উচিত। জানি না এতদিন পরে হয়ত সেই কথাটা কান দিয়ে শুনেছেন। রাসেলকে ছন্দহীন ভেঙ্কটেশের জায়গায় নিয়ে এসে তার ফল কি হতে পারে এবার নিশ্চয়ই বুঝেছে নাইট টিম ম্যানেজমেন্ট। আমি মনে করি এটা একটা সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। কেননা ভেঙ্কটেশ ছন্দে না থাকায় নাইটদের ব্যাটিং-এ মিডল অর্ডার চাপ পড়ছিল। রাসেলকে ওই জায়গায় তুলে আনায় সেই সমস্যা মিটেছে।
অনেকেই আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন এই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট কোনটা। পরাগের আউট না কি রিঙ্কুর ওই চার বাঁচানোটা। আমি মনে করি, দুটোই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। তবে রিঙ্কুর চার বাঁচানোটা নাম্বার ওয়ানে থাকবে। ওই বলটা যদি রিঙ্কু না বাঁচাতেন, তাহলে ম্যাচটা হেরেই মাঠ ছাড়তে হত নাইটদের। ভাগ্য ভাল, রিঙ্কু দলকে বাঁচিয়েছেন।
অপর দিকে আমি আশা করেছিলাম বৈভব অন্তত কিছু রান করবে। ও ব্যর্থ হল। তবে ওকে বলি, বৈভব যাতে সব বলে হিট করতে না যায়। কিছু বল অন্তত ধরে খেলা উচিত। এখন ওর বয়স কম। আশা করি, ভবিষ্যতে আরও নিজেকে পরিণত করে তুলবে। সব শেষে রাহানে-গুরবাজদের উদ্দেশে বলি, অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠা কিন্তু মারাত্মক। ম্যাচ বাই ম্যাচ ধরে এগোও। আর না হলে কিন্তু বিপদ বাড়বেই।