
Truth Of Bengal: বুধবার ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে কলিঙ্গ সুপার কাপের সেমিফাইনালে এফসি গোয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। আইএসএল-র লিগ-শিল্ড এবং চ্যাম্পিয়ন হওয়ার খেতাব জয় করার পরেও মোহনবাগানের দৌড় থামেনি। দুরন্ত ঘোড়ার মত ছুটে চলেছে বাগানের বিজয়রথ। কোয়ার্টার ফাইনালে কেরল ব্লাস্টার্সকে হারিয়ে সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে মোহনবাগান। সেই ম্যাচের আগে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন বাগানের কোচ বাস্তব রায় ও ফুটবলার আশিক কুরিয়ান।
সেমিফাইনাল ম্যাচের প্রতিপক্ষ এফসি গোয়াকে নিয়ে সবুজ-মেরুন কোচ বাস্তব বলেন, ‘যে কোনও টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল ম্যাচ অত্যন্ত কঠিন হয়। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এফসি গোয়া বরাবরই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। ওরা আইএসএল-এ ভাল পারফর্ম করেছিল। কেরল ম্যাচের থেকে আমি বলব গোয়ার বিপক্ষে খেলা অনেক কঠিন। আমি ছেলেদেরকে বলেছি কোনও চাপ নিতে হবে না। নিজেদের খেলাটা খেলে যাও। তবে সুযোগ নষ্ট করো না। যে সুযোগ পাবে, তা থেকেই কাজে লাগাতে হবে। তবুও আমি বলব, আমার ছেলেরা তৈরি নিজেদের সেরাটা দিতে। এবং তাঁদের একটাই লক্ষ্য ট্রফি জয় করা।’
বাগানের হেডস্যার এরপর নিজের ছেলেদের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘আমরা কলকাতা থেকে ২৫ জন ফুটবলার নিয়ে এসেছি। যাঁদের মধ্যে অধিকাংশই জুনিয়র ফুটবলার। কিন্তু হলে কি হবে তাঁরা এই টুর্নামেন্টে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। আমি আশা করব কোয়ার্টার ফাইনালের মতোই ওরা নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলবে। তবে ট্রফি জয় নিয়ে আমি এখন কিছু ভাবতে চাই না। ম্যাচ বাই ম্যাচ ধরে এগোতে চাই।’
ফুটবলার আশিক কুরিনিয়ানের গলাতেও শোনা গেল যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসের সুর। ‘দলের সকলে তৈরি। গোয়া কঠিন দল, ঠিক কথাই। কিন্তু আমরা আমাদের সেরা খেলাটা খেলতে পারলে অবশ্যই ম্যাচে জয় পেতে অসুবিধা হবে না। দলের বেশিরভাগ জুনিয়র ফুটবলার হলে কি হবে, আমরা যে কয়জন সিনিয়র আছি, আমাদের সঙ্গে ওরা দারুণভাবে মানিয়ে নিয়েছে। আমরা টিম খেলি। এবং তার জোড়েই আমরা সাফল্য অর্জন করেছি আইএসএল-এ। এবার সুপার কাপেও সেই লক্ষ্য নিয়েই এসেছি।’
সাহালের সঙ্গে তাঁর জুটি কি গোয়া ম্যাচেও জ্বলে উঠবে? আশিক বলেন, ‘সাহালের সঙ্গে আমার সম্পর্ক বরাবরই ভাল। এবং আমরা একে অপরকে বহুদিন ধরেই ধরেই চিনি। সাহাল মোহনবাগানে আসার পর আমাদের সম্পর্ক আরও ভাল হয়েছে। ফলে মাঠেও তার প্রভাব পড়ছে।