
The Truth of Bengal: প্রথম দুই ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপ শুরু করা পাকিস্তান এরপর হেরেছে টানা চারটি। আর একটি ম্যাচ হারলেই দলটি প্রথম পর্ব থেকে বিদায় নিবে। এমনকি শেষ তিন ম্যাচ জিতলেও সেমিফাইনালে ওঠার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এমন পারফরম্যান্সে স্বাভাবিকভাবেই সমালোচনার তিরে বিদ্ধ হচ্ছেন বাবর আজম-শাদাব খানেরা। বিশেষ করে ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনিস, শোয়েব আখতারদের মতো কিংবদন্তিরা বাবরের দলকে একরকম ধুয়ে দিচ্ছেন।এ অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার বিবৃতি দিয়ে দলকে সমর্থনের অনুরোধ জানিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। বিশ্বকাপের পর দলের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, বিবৃতিতে সেই কথাও জানিয়েছে পিসিবি। তবে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দলে থাকা এক খেলোয়াড় উল্টো দাবি করেছেন।
দলের দুঃসময়ে খেলোয়াড়েরা বোর্ড কর্তাদের সমর্থন পাননি, বরং খেলোয়াড়দের বিপদে ফেলে রেখে তাঁরা চলে গেছেন। ওই খেলোয়াড় আরও দাবি করেন, সমালোচনার ঝড় যাতে শুধু খেলোয়াড়দেরই সামলাতে হয়, সে কারণে বোর্ড কর্তারা পাস কাটিয়েছেন । দলের বেশির ভাগ সিনিয়র ক্রিকেটার এমনটাই মনে করছেন। সেই ক্রিকেটার আরও বলেছেন, ‘হারতে থাকলে সমালোচনা হবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বোর্ডের আচরণে তারা হতাশ। বোর্ডের কাছ থেকে যতটা সমর্থন আশা করেছিলেন, ততটা পাননি।’পাকিস্তানের বিশ্বকাপ দল নির্বাচন নিয়েও অনেক প্রশ্ন উঠেছে। এ ব্যাপারে পিসিবি তাদের বিজ্ঞপ্তিতে লিখেছে, দল নির্বাচনে অধিনায়ক বাবর ও প্রধান নির্বাচক ইনজামাম উল হককে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। টানা ম্যাচ হারের পর খেলোয়াড়েরা ড্রেসিংরুমে মারামারি করেছেন—এমন খবরও পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলোতে এসেছে।
এ ধরনের খবরকে মিথ্যা দাবি করে সেই ক্রিকেটার বলেছেন, ‘বৈঠকে প্রত্যেকেই তাদের মতামত তুলে ধরে। মতের অমিল দেখা দেয়। কিন্তু কখনো মারামারি হয়নি। তাঁরা চেয়েছিলেন সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসুক। তাই তারদের উদ্বেগের বিষয়গুলো দলের ব্যবস্থাপকের মাধ্যমে উত্থাপন করেছিলেন। কিন্তু পিসিবি সমস্যাটিকে বেশি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে একটি অপ্রয়োজনীয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।’ প্রাক্তন ক্রিকেটাররা পাকিস্তান দলের ব্যর্থতার পুরো দায় বাবরকে দিলেও ওই ক্রিকেটারের দাবি, অধিনায়ক একা কোনো সিদ্ধান্ত নেন না। কোচ ও বাকি খেলোয়াড়েরাও এতে জড়িত।
Free Access