
Truth Of Bengal: একটা সময়ে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের হয়ে গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে আইপিএলের ম্যাচ খেলেছিলেন বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি। এককথায় তাঁরা ছিলেন পরস্পরের সতীর্থ। কিন্তু সেই একদা সতীর্থ হয়েও গৌতম যে তাঁকে নানাভাবেই হেনস্থা করতেন। এবং ২০১০ সালের তাঁর সঙ্গে গৌতমের সেই বিবাদ মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল বলেও অভিযোগ করেন মনোজ।
এই প্রসঙ্গে মনোজ জানান, ‘গম্ভীর ভাল ক্রিকেটার হলেও দলের সহখেলোয়াড়দের সঙ্গে তাঁর ব্যবহার একদমই ঠিক ছিল না। আইপিএল চলার মাঝে প্রায়ই দলের তাঁর রুক্ষ ব্যবহার দলের ক্ষতি করেছিল। এমনকি আমার সঙ্গে যখন বিবাদ তৈরি হয়েছিল তখন একবার পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে সেই সময়ের কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের বোলিং কোচ ছিলেন প্রাক্তন পাক অধিনায়ক ওয়াশিম আক্রম। তিনি এসে আমাদের মধ্যে বাক যুদ্ধ ঠেকাতে হস্তক্ষেপ করেছিলেন।’
মনোজ আরও বলেন, ‘আমি ২০১০ সালে নাইটদের শিবিরে যোগ দিয়েছিলাম। এবং দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কয়েকদিন পর থেকেই গম্ভীর আমাকে লক্ষ্য করে অশালীন মন্তব্য করতেন। প্রথমে আমি ব্যাপারটাকে গুরুত্ব দিতাম না। কিন্তু পরবর্তীকালে যখন ব্যাপারটা নিয়ে ভাবতে শুরু করি, তখন বুঝলাম যে সেই বছর যে সমস্ত স্থানীয় ক্রিকেটার নাইটদের দলে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে আমি ছিলাম প্রতিশ্রুতিবান ক্রিকেটার। তাই সংবাদমাধ্যম আমার খেলার প্রতি নজর রাখছিল প্রতি নিয়ত এবং আমাকে নিয়ে আলাদা মাইলেজ দেওয়াটা গম্ভীরের একেবারেই পছন্দ ছিল না। সেই কারণে গম্ভীর এইরকম আচরণ করতেন।’
উদাহরণস্বরূপ বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেন, ‘একবার আইপিএল চলার সময় ইডেনে আমার ব্যাটিং পজিশনের পরিবর্তন করা নিয়ে গম্ভীরের সঙ্গে তুমুল তর্কাতর্কি হয়। আমি ওই ঘটনায় যথেষ্ট হতাশ পড়ি। এবং নিজেকে ঠিক রাখার জন্য ওয়াশরুমে যাই। গম্ভীর সেখানে গিয়েও আমাকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি। এবং রীতিমত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, সে আমাকে কিছুতেই খেলাবে না। এরপর তর্কাতর্কি আরও বাড়ে। এবং তখনই ছুটে এসে মধ্যস্থতা করেছিলেন ওয়াশিম আক্রম। আসলে আক্রম একবার আমার ক্রিকেট প্রতিভা নিয়ে প্রশংসা করায় গম্ভীরের গাত্রদাহ হয়েছিল।’
প্রসঙ্গত, এই ঘটনার পরই মনোজ বনাম গম্ভীরের দূরত্ব বাড়তে থাকে। গম্ভীর এখন নাইটদের কোচের পদ ছেড়ে ভারতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন। এবং ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে ভারত গম্ভীরের কোচিংয়েই দুরমুশ হয়েছে। সেই সময় বর্তমান ভারতীয় দলের কোচ গৌতির যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁকে ‘ভণ্ড’ বলেও আখ্যা দিয়েছিলেন মনোজ।