খেলা

সঠিক সময়ে জ্বলে উঠে বিরাট প্রমাণ করল ও ফুরিয়ে যায়নি : ইন্দুভূষণ রায়

It proved to be a great success by shining at the right time and not fading away: Indubhushan Roy

Truth Of Bengal: চলতি বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত পর পর দুটো ম্যাচেই জয় পেয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল রবিবার পাকিস্তানকে দুরমুশ করা। এক কথায় অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছেন টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেটাররা। না হলে পাকিস্তানের মত দলকে এইভাবে হারানো যায় না। বাবর আজমদের বিরুদ্ধে এই জয়ের পরে প্রমাণ হয়ে গেল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দুই ম্যাচে জয় আমাদের দেশের ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের লেভেল একদম ঠিক আছে।

এরপর আসা যাক বিরাট কোহলির পারফরম্যান্স নিয়ে। অস্ট্রেলিয়াতে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে বিরাট শেষবার অর্ধ্বশতরান পূর্ণ করেছিলেন। তারপর থেকেই আর বড় রান ছিল না বিরাটের ব্যাটে। ফলে ক্রমাগত সকলের সমালোচনার বাণে বিদ্ধ হতে হয়েছে বিরাটকে। হওয়াটাই স্বাভাবিক। কেননা বিরাট কোহলি ব্যাট হাতে মাঠে নামা মানেই দর্শকদের প্রত্যাশার পারদ অনেকটা বেশি থাকে। ক্রিকেট একবলের খেলা এটা তখন মাথায় থাকে না। বিরাট বড় রান করবেন এটাই ভেবে নেন সকলে। তার মধ্যে এক-দুটি ম্যাচে তাঁর রান না পাওয়াটা ক্রিকেটপ্রেমীরা মেনে নিলেও দীর্ঘদিন বিরাটের রান না পাওয়াটা তাঁরা মানতে পারেননি। তাই সমালোচনার বানে বিদ্ধ হতে হয়েছে বিরাটকে। কিন্তু বিরাট এখনও যে ফুরিয়ে যাননি তার প্রমাণ রবিবারই মরুশহরের ২২ গজে ক্রিকেট ব্যাট হাতে প্রমাণ করে দিলেন। সত্যিই হ্যাটস অফ।

বিরাটের পাশাপাশি আমি প্রশংসা করব শুভমন এবং শ্রেয়সরও। দুজনেই কিন্তু ভাল ব্যাট করে বিরাটকে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছেন। ক্রিকেটের পরিভাষায় এই পার্টনারশিপটা খুবই দরকার। না হলে সমস্যায় পড়তে হয় দলকে। টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেটাররা প্রমাণ করে দিয়েছেন তাঁদের দলের সকলের মধ্যে বোঝাপড়াও রয়েছে যথেষ্ট ভাল। তবে রান না পেলেও রোহিতের প্রশংসা প্রাপ্য। কেননা শুরুটা ভালই করেছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক। একটু ধৈর্য নিয়ে খেললে আশাকরি রোহিত এর পরের ম্যাচ থেকে সফল হবেন।

এবার আসা যাক ভারতীয় বোলারদের ক্ষেত্রে। প্রত্যাশা মতই কোনও কোচই তাঁর উইনিং কম্বিনেশন একান্ত দরকার না পড়তে ভাঙতে চান না। গম্ভীরও সেই পথের বাইরে হাঁটেননি পাকিস্তান ম্যাচে। আমিও ভেবেছিলাম বাংলাদেশের বিপক্ষে কুলদীপ সেইভাবে জ্বলে উঠতে না পারার কারণে হয়তো ঘরের মাঠে বাটলারদের বিরুদ্ধে সফল হওয়া বরণ চক্রবর্তীকে প্রথম একাদশে রাখা হবে। কিন্তু তা হয়নি।

কুলদীপও পাকিস্তান ম্যাচে প্রমাণ করে দিলেন ওঁর ওপর ভরসা রেখে টিম ম্যানেজমেন্ট ভুল করেনি। তবে বরুণ আশাকরি দলে সুযোগ পাবেন। রবিবারের ম্যাচে প্রথম দিকে শামির বোলিংয়ে অনেকেই হয়তো হতাশ হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের উদ্দেশে বলি, হতাশ হওয়ার কিছু নেই। এক একদিন এইরকম হতেই পারে। শামি যথেষ্ট অভিজ্ঞ একজন বোলার। ঠিক সময়ে বল হাতে জ্বলে উঠবেন।

তবে আর একটা কথা না বললেই নয়, ভারতীয় দলের প্রত্যেক ক্রিকেটারের মাথায় রাখা উচিত, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দুটি ম্যাচ জিতে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী যাতে না হয়ে পড়েন। কেননা আমাদের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে ট্রফি জয় করা। সেটা থেকে এখনও আমরা অনেক দূরে রয়েছি। কাজেই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস দূরে সরিয়ে ম্যাচ বাই ম্যাচ এগিয়ে চলুক ভারত। তাহলে অবশ্যই সাফল্য আসবে বলে আমার মনে হয়।

Related Articles