দলগত পারফরম্যান্স বজায় রেখে খেলতে পারলেই বাজিমাত করবে ভারত
India will win if they can maintain their team performance

Truth Of Bengal: প্রণব রায়, প্রাক্তন জাতীয় ক্রিকেটার: রবিবার ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল ম্যাচে মাঠে নামবে। প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। ফাইনাল ম্যাচ মানেই একটা হাইভোল্টেজ ম্যাচ। এই ম্যাচের আগে দুই দলের ভারসাম্য দাঁড়িপাল্লায় রেখে ওজন করা হলে দেখা যাবে ফারাক খুব বেশি হবে না। ১৯-২০-র ফারাক থাকবে। সুতরাং ম্যাচটা আমি আশা করব শেয়ানে-শেয়ানে কোলাকুলি হবে।
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত শুরু থেকেই যেন দুরন্ত ছন্দে রয়েছে। বিশেষ করে পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপ লিগের ম্যাচে মেন-ইন-ব্লুজরা যেভাবে ম্যাচ জিতেছে, তাতে ওঁদের আত্মবিশ্বাসটা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত যেখানে খেলছে সেই দুবাইয়ের আবহাওয়া এবং উইকেট দুটোই আমাদের মতন। ফলে এই ধরনের পিচে যে ধরনের স্পিনার লাগে তা ভারতের কাছে সবকিছুই মজুত রয়েছে। পেসার হিসাবে চোট সারিয়ে যেভাবে নিজেকে এই টুর্নামেন্টে মেলে ধরল, তা এক কথায় ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। বোলিং বিভাগের সকলের এমন ছন্দে থাকার ফলেই চোখে পড়ল না বুমরার অভাব। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এটা অবশ্যই ভারতের একটা ইতিবাচক দিক বলা যেতেই পারে। সুতরাং বোলিং বিভাগ নিয়ে গৌতম গম্ভীর কিংবা রোহিত শর্মার কোনও চিন্তা থাকার কথা নয়।
অপর দিকে ব্যাটাররাও বেশ ভাল ছন্দে রয়েছে। বিশেষ করে মিডল অর্ডার। বিশেষ পাওনা বিরাটের ছন্দে ফেরা। গিল রান করলেও আবার মাঝে মাঝে ছন্দে হারালেও আমি আশা করব গিলকে তাঁর চেনা ছন্দে ফাইনালে দেখতে পাওয়া যাবে। অন্য দিকে রোহিত যে ধরনের ব্যাটিং করতে অভ্যস্ত ঠিক সেই ধরনের ব্যাটিং করতেই ওকে দেখা যাচ্ছে। অর্থ্যাৎ ‘লাগে টুক না লাগে তাক’ আর রোহিত যদি কোনও কারণে রবিবার ম্যাচে দাঁড়িয়ে যায়, তাহলে তো কথাই নেই। ভারত কোথায় গিয়ে শেষ থামবে তা কারোর পক্ষেই বলা সম্ভব নয়।
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বোলার হিসাবে স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী দুরন্ত ছন্দে রয়েছে। অনেকেই আমার কাছে ওঁর সম্বন্ধে জানতে চেয়েছেন, আমি বরুণকে অনেকদিন আগে থেকেই চিনি। আইপিএল-এ খেলার সময়ও বরুণকে দেখেছি। আমি মনে করি বরুণ একজন রহস্যময় স্পিনার। তবে ওকে মাথায় রাখতে হবে, জীবনের প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ রয়েছে। কাজেই চাপ থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বরুণকে সেই চাপটা কাটিয়ে উঠেই নিজের সেরা পারফরম্যান্সটা দিতে হবে। এবং আগের ম্যাচগুলির মত ফাইনাল ম্যাচেও যদি বরুণ সঠিক লাইনও লেংথ বজায় রেখে বল করতে পারে তাহলে ওর সাফল্য পাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
এ ছাড়াও বরুণকে আরও একটা বিষয়ে নজর উন্নতির কথা মাথায় রাখতে হবে সেটা হল ওর ফিল্ডিং। কেননা আইপিএল-এ ঠিক ভাবে বোঝা না গেলেও, জাতীয় দলের হয়ে খেলার সময় বোঝা যাচ্ছে, বরুণের ভাল ফিল্ডিং করার ক্ষেত্রে একটু দুর্বলতা রয়েছে। সেটা বরুণকে কাটিয়ে উঠতে হবে।
অপর দিকে নিউজিল্যান্ড টিমও কিন্তু যথেষ্ট শক্তিশালী। কেননা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অন্যতম ফেবারিট দল হিসাবেই ফাইনালে খেলার ছাড়পত্র পেয়েছে। ওদের দলেও অনেক ভাল ভাল ক্রিকেটার আছেন। সবশেষে আবারও বলতে দ্বিধা নেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে রবিবার লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি, শেয়ানে-শেয়ানে।