খেলা

পাক হামলার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন হরজিন্দর-ও

Harjinder is also living in fear of a Pakistani attack.

Truth Of Bengal: পহেলগাঁও কাণ্ডের পর ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’। যার জেরেই দুই দেশের সীমান্তের পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে অস্থির। কিন্তু সীমান্ত থেকে বহু দূরে অবস্থিত হলেও পঞ্জাবের রাজধানী চণ্ডিগড় জুড়েও রয়েছে আতঙ্কের ছবি।

পঞ্জাব ও হরিয়ানা দুই রাজ্যের রাজধানী হওয়ার সুবাদে সদাই ব্যস্ত চণ্ডিগড় শহর। এখনকার আম জনতাও ব্যস্ত থাকেন নিজেদের কর্মজগত ও পরিবার-পরিজনদের নিয়ে। তবে চণ্ডিগড় শুধু নয়, আতঙ্ক গ্রাস করেছে রাজধানী শহরের নিকটবর্তী আর এক শহর মোহালির বাসিন্দাদেরও।

বর্তমানে সেই মোহালি শহরই স্থায়ী ঠিকানা লাল-হলুদের এই প্রাক্তন উইঙ্গারের।  পাক মিশাইল, বা মর্টারের হাত থেকে রক্ষা পেতে ভারতের যে সমস্ত শহরগুলিতে সন্ধ্যার পর ব্ল্যাক আউট করা হচ্ছে মোহালিও তারমধ্যে অন্যতম। সীমান্তের একোবারে লাগোয়া না হলেও মোহালির শান্ত-নিরিবিলি পরিবেশ যে এখন অনেকটাই আতঙ্কিত সে কথাই জানালেন লাল-হলুদের এই প্রাক্তনী।

নিজের শহরের বর্তমান অবস্থা সমন্ধে বলতে গিয়ে হরজিন্দর জানান, ‘পাকিস্তানের সীমান্ত থেকে দূরে আছি ঠিক কথাই, কিন্তু আতঙ্ক থেকে মুক্তি নেই। সকালবেলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে, বিকাল পাঁচটার পরই চণ্ডিগড় সহ গোটা শহর যেন সুনসান, জনহীন হয়ে পড়ে। না দেখলে হয়ত অনেকের বিশ্বাসই হবে না, কি আতঙ্কে যে দিন কাটছে আমাদের!

আত্মীয়-স্বজনরা থেকে শুরু করে বন্ধু-বান্ধব সকলেই ফোন করে খবর নিচ্ছেন। কবে যে সন্ধার পর থেকে ব্ল্যাক আউট উঠে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, সেই আশাতেই বসে আছি। দেখি কি হয়। তবে ভগবানের কাছে প্রার্থনা করছি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে ওঠে।’

এর পাশাপাশি আমাদের দেশের বীর সেনাদের প্রতি স্যালুট জানাতেও ভুললেন না হরজিন্দার। বললেন, ‘দেশের সীমান্তে আমার সেনাভাইরা যেভাবে আমাদের পাশাপাশি দেশকে রক্ষা করছেন, পুরো কৃতিত্ব তাঁদের। নিজেদের জীবনকে বাজি রেখে ওদের লড়াই, আত্মত্যাগকে কুর্নিশ জানানো উচিত। ওরাই তো ভারতমাতার বীর সন্তান। যাঁরা দেশ ও আমাদের নিরাপদে রক্ষার জন্য নিজেদের জীবনকে তুচ্ছ করে শত্রুপক্ষের বিপক্ষে লড়াই করেন। কাজেই ভগবানের কাছে তাঁদের মঙ্গল কামনা করলাম।’

Related Articles