খেলা

এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ থেকে বিদায় নিল ইস্টবেঙ্গল

East Bengal exits AFC Challenge League

Truth Of Bengal: এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ থেকে বিদায় নিল ইস্টবেঙ্গল। বুধবার আরকাদাগ এফসির কাছে ২-১ গোলে হারল লাল হলুদ। পর পর দুই ম্যাচে হেরে এবারের মত এএফসি চ্যালেঞ্জ অভিযান শেষ করল লাল হলুদ। ম্যাচ হারলেও দুরন্ত লড়াই করলেন অস্কার ব্রুজোর ফুটবলাররা।

এএফসি চ্যালেঞ্জের নকআউট পর্বে শেষ চারে যেতে গেলে এই ম্যাচ থেকে ইস্টবেঙ্গলকে কমপক্ষে দুই গোলে জিততেই হত। সেই অনুযায়ী নিজের দলকে সাজিয়েছিলেন লাল-হলুদের অভিজ্ঞ কোচ অস্কার ব্রুজো। ডিপ ডিফেন্সে জিকসন ও হেক্টরের সঙ্গে দুই সাইড ব্যাক নুঙ্গা ও রাকিপ। মাঝমাঠে মহেশ, ক্রেসপো, সৌভিক ক্রেসপো। এবং ফরোয়ার্ডে সেলিস, দিয়ামান্তাকস ও মেসি।

ডু-অর-ডাই ম্যাচ। লাল-হলুদের অতীত ইতিহাস বলে এইরকম বহু কঠিন ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল শুধু স্বদেশি দলকেই নয়, হারিয়েছে বিদেশি দলকেও। সেই ইতিহাসকে সামনে রেখেই বুধবার আরকাদাগের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন গিল, সৌভিকরা। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণের পর আক্রমণ করে আরকাদাগের রক্ষণভাগকে চাপে ফেলে দেয় ইস্টবেঙ্গল। এই অর্ধেই বেশ কয়েকটি সুযোগও তৈরি করে ফেল অস্কারের দল। তবে তা কাজে লাগাতে পারেননি দিয়ামান্তাকস ও সেলিসরা। না হলে বুধবারের ম্যাচ থেকেও জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারত অস্কারের দল।

প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময়েই গোল তুলে নেয় লাল-হলুদ। এবারেও ইস্টবেঙ্গলের হয়ে স্কোরশিটে নাম তুললেনও সেই মেসি বাউলি। গোল দিয়ে আরও আক্রণের ঝাঁঝ বাড়াতে থাকেল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু এই আক্রমণের ছন্দ কাটেন ডিফেন্ডার লালচুংনুঙ্গা। আইএসএল-এর ম্যাচগুলিতে অহেতুক কার্ড দেখে একাধিক ম্যাচে মাঠের বাইরে থেকে দলকে সমস্যায় ফেলেছিলেন তিনি। এএফসি-তেও তার ব্যতিক্রম হল না। অহেতুক লাল-কার্ড দেখে দলকে ডুবিয়ে দিলেন নুঙ্গা। আর কবে যে তিনি সিরিয়াস হবেন তা স্বয়ং ঈশ্বর ছাড়া আর কেউ জানেন বলে মনে হয় না।

১০ জন হয়ে যাওয়াতেও ইস্টবেঙ্গল প্রথমার্ধে দুরন্ত লড়াই করে নিজেদের জয় ধরে রেখেছিল। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হতেই আরকাদাগ খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে লাল-হলুদ রক্ষণে। সেই সময় অনবদ্য হয়ে ওঠেন তিন কাঠির নীচে অনবদ্য হয়ে ওঠেন গোলরক্ষক প্রভুসূখন সিং গিল। বেশ কয়েকবার নিশ্চিত পতনের হাত থেকে দলকে বাঁচান তিনি। কিন্তু তবুও শেষরক্ষা হল না।

দ্বিতীয়ার্ধে প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়কে আটকাতে গিয়ে নিজেদের বক্সে ফাউল করে বসেন মিডফিল্ডার সৌভিক চক্রবর্তী। তার ফলেই পেনাল্টি পায় আরকাদাগ। তা থেকে গোল করে সমতায় ফেরে তুর্কিমেনিস্তানের এই ক্লাবটি। এরপর খেলা শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট আগে প্রতি আক্রমণ থেকে উঠে এসে লাল-হলুদের জালে শেষ পেঁরেকটি পুঁতে দিয়ে জয় নিশ্চিত করে নেয় আরকাদাগ এফসি। ম্যাচ হেরে এবারের মত এএফসি অভিযানও শেষ করল ইস্টবেঙ্গল। আবার প্রতীক্ষা আরও একটি বছরের।

Related Articles