বারবার রেফারির ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হচ্ছে বাংলার ক্লাবগুলো, জানালেন অলোক-বিশ্বজিৎ
Alok-Biswajit express anger over ISL refereeing standards

Truth Of Bengal: সুদীপ্ত ভট্টাচার্য : গত বৃহস্পতিবার আইএসএল-র গুরুত্বপূর্ণ হোম ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল মুখোমুখি হয়েছিল ওড়িশা এফসি। এই ম্যাচে ওড়িশার ফুটবলার দিয়াগো মরিশিওকে ফাউল করার জন্য ইস্টবেঙ্গল মিডিও জিকসন সিংকে দুবার হলুদ কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বার করে দেন ওই ম্যাচের দায়িত্বপ্রাপ্ত রেফারি তেজস ভিসভারসাও। যা একেবারেই মেনে নিতে পারছেন লাল-হলুদ সমর্থকদের পাশাপাশি দলের দুই প্রাক্তন ফুটবলার বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য ও অলোক মুখোপাধ্যায়।
এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, ইস্টবেঙ্গল এখন একটা চেনা ছন্দে ফিরেছে। বৃহস্পতিবারও ঘরের মাঠে ক্লেটন, আনোয়ার, সৌভিকরা যেভাবে ম্যাচের শুরু থেকেই ওড়িশার এফসির বিপক্ষে ঝাঁপিয়েছিল, তা দেখে আমার পুরনো ইস্টবেঙ্গলকেই যেন মনে পড়ে যাচ্ছিল। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, ওড়িশার সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচের যিনি রেফারির দায়িত্বে ছিলেন, তিনিই অস্কারের দলকে হারিয়ে দিলেন।
আমি ১০০ শতাংশ নিশ্চিত যে কারণে জিকসনকে লালকার্ড দেখানো হয়েছে, তা কখনই উচিত হয়নি। ওড়িশা এফসির মরিশিও পুরো নাটক করে জিকসনকে লাল কার্ড দেখাতে বাধ্য করল। এইরকম নিম্ন মানের রেফারিং চলতে থাকলে কোনওমতেই ফুটবলের উন্নতি সম্ভব নয়। ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন যদি এখনও এই বিষয়ে নীরব থাকে তাহলে আমার কিছু বলার নেই।
এখানেই থেমে না থেকে প্রাক্তন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলার আরও বলেন, এত খরচা করে ক্লাবগুলো দল তৈরি করে। এত টাকা খরচ হয়। তাহলে বিদেশি রেফারিদের নিয়ে এসে এবার থেকে আইএসএল-র ম্যাচগুলি খেলানো উচিত। যখন অস্কারের দল সবে ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে, তখনই রেফারির ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হল। দলের প্রাক্তন ফুটবলার হিসেবে আমি কোনওমতেই এটা মানতে পারছি না।
পাশাপাশি তালালের চোট নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন অলোক। বলেন, এই মুহূর্তে তালাল দলের অন্যতম গেম মেকার। ওঁর তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়া প্রয়োজন। না হলে দলের খুব ক্ষতি হবে। আমার মনে হয়েছিল প্রথমে চোটটা গুরুতর নয়। কিন্তু পরে বুঝলাম যে তালালের চোটটা গুরুতর। এখন দেখা যাক, যত তাড়াতাড়ি তালাল মাঠে ফিরতে পারবে, ততই দলের মঙ্গল।
অলোকের মতো ক্ষোভের সুর বিশ্বিজিৎ ভট্টাচার্যের গলাতেও। বিশ্বিজিৎ বলেন, বাংলার ক্লাবগুলো প্রতিবার বঞ্চনার শিকার হচ্ছে। এটা কেন হবে? একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এই ধরনের নিম্ন মানের রেফারিং কখনই মানা যায় না। এবার চিন্তা-ভাবনার সময় এসেছে। প্রতিবার একই ধরনের ঘটনা ঘটলে কখনই মেনে নেওয়া সম্ভব হয় না। আমার তো জানতে ইচ্ছা করে কিভাবে এইসব রেফারিরা ইস্টবেঙ্গল-র মতো একটা বড় দলের ম্যাচ খেলানোর দায়িত্ব পান। আমার মনে হয় রেফারির উচিত ছিল সহকারী রেফারিদের সাহায্যে জিকসনের লাল-কার্ড উইথড্র করে নেওয়া। উল্টে প্লে অ্যাকটিংয়ের জন্য মরিশিওকে লাল-কার্ড দেখানো উচিত ছিল।
বিশ্বিজিৎ আরও বলেন, ইস্টবেঙ্গল বড় দল। ভারতীয় ফুটবলে তাঁদের অনেক অবদান আছে। এইভাবে যদি কেউ মনে করেন যে, ইস্টবেঙ্গলকে আটকে দেওয়া যাবে, তাহলে তাঁরা ভুল করবেন। আমি ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কর্তাদের কাছে অনুরোধ এবার অন্তত এইসব রেফারি দিয়ে ম্যাচ খেলানোর আগে একবার চিন্তাভাবনা করে দেখবেন।