‘এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে যাতে ৩৫৫ লাগবেই’! শুভেন্দুর মন্তব্যে কিসের ইঙ্গিত?
Suvendu Adhikari's Controversial Statement

The Truth of Bengal: উত্তরপ্রদেশ-ত্রিপুরার পঞ্চায়েত ভোটে লাগামছাড়া হিংসার কথা বেমালুম চেপে গেলেও বাংলার ভোট হিংসা নিয়ে ময়দানে নেমেছে বিজেপি। পঞ্চায়েতে দেদার সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে শোরগোল ফেলছে বিজেপি সহ বিরোধীরা। যদিও ভোটচিত্র বলছে, ভোটের দিন নিহতদের তালিকায় বেশিরভাগই তৃণমূল কংগ্রেসের। ২২জনের কাছে যে মৃত্যু হয়েছে তাতে তৃণমূলেরই রয়েছে ১২জন। তবুও কেন্দ্রের শাসকদের প্রচারে ইস্যু করা হচ্ছে সেই নির্বাচনী হিংসাকেই।এসবের মাঝে রাজনৈতিক ঝড় তুলেছে শুভেন্দু অধিকারীর ভিডিও-য় বিতর্কিত মন্তব্য। ভিডিয়ো স্পষ্ট করা হয়েছে,কোনও কোনও মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে ৩৫৫ ধারা জারি না হলে বাংলায় ভোট করা অসম্ভব।
আর শুভেন্দুর অস্ত্রেই তাঁকে বিঁধেছেন তৃণমূল নেতৃবৃন্দ। ৩৫৫ ধারা জারি নিয়ে শুভেন্দুকে নিশানা করেছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। তাঁর সাফকথা, পঞ্চায়েতের সন্ত্রাসের পেছনে হাত কার তা এখন স্পষ্ট। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাকে অশান্ত করার কথা শুনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, বিরোধী দলনেতা ও বিজেপির অভিসন্ধি হল রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটিয়ে ৩৫৫ ধারা প্রয়োগের পরিবেশ তৈরি করা। এটা একেবারে ষড়যন্ত্র কেন্দ্রের হস্তক্ষেপে উনি এমনই একটা পরিবেশ তৈরি করতে চান উনি স্বীকার করছেন সেই পরিবেশ কীভাবে সৃষ্টি করতে হয় এটাই হচ্ছে হিংসার মূল কারণ ওঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, মন্তব্য করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
বিরোধী দলনেতার ওই ভিডিয়ো নিয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দয়ায় তৈরি হয়েছিল লোডশেডিংয়ে জেতা বিরোধী দলনেতার পরিচিতি। প্রকাশ্যে টাকা নিয়ে ধরা পড়ে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কেন্দ্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে উনি বাংলা বিদ্বেষী কাজকর্ম করে চলেছেন। বারবার তানি বলছেন বাংলায় ৩৬৬ জারি করতে হবে। মজার ব্যাপার হল তাঁর দলের নেতারাই তাঁকে সমর্থন করছেন না। গতকালই তাঁদের দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যকে বলতে শুনেছি, আমরা ৩৫৫ কিংবা ৩৫৬ ধারা জারির পক্ষে নেই। অর্থাৎ বিজেপির মধ্যে তিনি নিজেই কোণঠাসা। বাংলার মানুষ ঐক্যবদ্ধ ভাবে এর মোকাবিলা করবেন। যদিও উত্তরবঙ্গের বিজেপি নেতাও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক ভিডিও-র সত্যতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন।
ভোট পরবর্তী বাংলায় আসা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্য রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, এরাজ্যে ৩৫৫ ধারা প্রয়োগের পরিবেশ রয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীও একই কথা বলছেন। আসলে সবটাই বাংলাকে বদনাম করা চেষ্টা বলে মুখর তৃণমূল নেতৃত্ব। রাতের অন্ধকারে এক কলমের খোঁচায় নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দেওয়ার বিজেপির চক্রান্ত কোনওদিন বাংলার মানুষ ভালো ভাবে না। মেরুকরণবাদীদের এই মারপ্যাঁচের খেলা সচেতন নাগরিকরা আতস কাঁচে বিচার করবেন।গণদেবতার কষ্টি পাথরে গণতন্ত্রে খাদ মেশানোর ছক ভেস্তে যাবে বলে দাবি অনেকের।