মসনদের লড়াইরাজনীতি

Lok sabha election 2024: বিকল্প রাজনীতির ধারা কোন পথে এগোচ্ছে ? কী বলছে জাতীয় রাজনীতির মুড?

Lok sabha election 2024: Delhi's Ramlila Maidan made it clear that the united face of the opposition is the only alternative to the BJP

The Truth of Bengal: লোকসভা ভোটে বড় বিষয় প্রধানমন্ত্রী কে হবেন ? কে বসবেন কুর্সিতে ? কার দেশের হাল ধরার মতো ইস্যু বরাবরই বড় হয়ে  ওঠে। এবারও সেই প্রশ্নকে সামনে এনে বিজেপি বিরোধীদের বেগ দেওয়ার চেষ্টা করছে।বিরোধীরা বলছেন,৩১ মার্চ দিল্লির রামলীলা ময়দান বুঝিয়ে দিয়েছে বিরোধীদের সংঘবদ্ধ মুখই বিজেপির বিকল্প। সংসদীয় রাজনীতিতে অতীতে অনেকবার ভোটের পর নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০৪সালে সোনিয়া গান্ধী সুযোগ পেয়েও মনমোহন সিংকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেন। এছাড়াও কখনও দেবগৌড়া,কখনও ইন্দ্রকুমার গুজরাল জোটের হাল ধরেছিলেন।এবারও বহুত্ববাদের মঞ্চ থেকে সেরকমই কেউ উঠে আসবেন বলে মনে করছে ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা। তবুও বিজেপি এই ইস্যুকে আঁকড়ে ধরে রয়েছে। এবিষয়ে কংগ্রেস নেতা শশী থারুর সপাট চালিয়ে খেলেছেন, বুঝিয়ে দিয়েছেন জোট রাজনীতিতে এই প্রশ্ন একেবারেই অবান্তর।

কারণ ভারতীয় গণতন্ত্রে অজস্র দল রয়েছে,যাতে যোগ্য লোকও রয়েছেন অনেকে।যাঁরা ভোটের রাজনীতিতে হাত পাকিয়েছেন।দেশ চালানোর কাজে তাঁরা  প্রকৃত দেশের চালক হয়ে উঠতে পারেন।নির্বাচনের পরেই সেইসব নাম নিয়ে চর্চা শুরু হতে পারে। ইন্ডিয়া জোটের নীতিকাররাই যে আগামীর নেতা চয়ন করবেন তাও স্পষ্ট করেছেন রাহুল গান্ধী,মল্লিকার্জুন খাড়্গের মতো শীর্ষ নেতারাও।কেউ কেউ বলছেন,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি রাজি থাকেন তাহলে তাঁর নাম নিয়ে আলোচনা হতে পারে।ইতিমধ্যে ভোট প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিয়েছেন,  ভোটে জয়ের পর ইন্ডিয়া জোট নিয়ে তিনি ভাববেন। বাংলাই দিল্লিকে পথ দেখাবে বলেও স্পষ্ট করেছেন।এই অবস্থায়,৩১মার্চ দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের মেগা সমাবেশ থেকে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের সুর চড়া হয়েছে।

উত্তর প্রদেশ,গুজরাট,দিল্লি,বিহারের মতো অন্যরাজ্যে সেভাবে সমঝোতা পাকা না হলেও বিরোধীরা এটা বুঝিয়ে দিচ্ছেন বিজেপিকে হারানোই তাঁদের এক ওএকমাত্র লক্ষ্য।বিশেষ করে কেজরিওয়াল ও হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতারের পর ঐক্যবদ্ধ বিরোধী শিবির যেভাবে লোকতন্ত্র বাঁচানোর সুর চড়িয়েছে তাতে চব্বিশে অন্যরকম কিছু দেখা যেতে পারে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।২৮টি দলের ঐক্যবদ্ধ মঞ্চ কার্যতঃ বিজেপির নার্ভের চাপ বাড়াচ্ছে বলে তাঁদের অভিমত।তাই মোদি-শাহরা বিরোধীদের জোটকে আক্রমণ করছেন। প্রথমে বিরোধীদের মুখ নিয়ে যে বিজেপি সরব হয়েছিল তারাই  এখন বিরোধীদের সংগঠিত লড়াইয়ের চাপে পড়ে এই কটাক্ষ হানছে বলে অনেকে মনে করছেন।তাই শাসক-বিরোধী তরজার মাঝে জনতা জনার্দনের কাছে প্রতিহিংসার রাজনীতি না মোদির ব্রান্ড  ইমেজ,গ্রহণযোগ্য হয় সেটাই বড় লক্ষ্য রাখার বিষয়। ১০বছরের পারফরমেন্স রেকর্ড হাতে থাকার পরেও নরেন্দ্র মোদি কখনও রাম আবেগে শান দিচ্ছেন কখনও আবার বিরোধীদের জোটকেই তুলোধনা করছেন। এমনকি একহাত নিতে গিয়ে মোদি  বিরোধীদের জোটকে ইন্ডিয়ার বদলে ইন্ডি বলেও কটাক্ষ করছেন। ভোটের পর এই জোট ছন্নছাড়া হয়ে যাবে বলেও হুঙ্কার দিচ্ছেন।

Related Articles