দণ্ডসংহিতার বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ তৃণমূলের! কুরুচিকর মন্তব্যের সমালোচনায় চন্দ্রিমা-শশী
Vidhan Sabha

The Truth of Bengal: নাগরিক অধিকার ক্ষুন্ন হওয়ার আশঙ্কায় মনুসংহিতা বিলের বিরুদ্ধে বিধানসভায় পাস হল প্রস্তাব। ১০১-৪২ ভোটে পাস হয় এই প্রস্তাব। শুধু কেন্দ্র বিরোধী প্রস্তাব পাসই নয়, বিজেপি বিধায়কদের সমন্বয়হীনতাও স্পষ্ট হয়। দ্বিধাবিভক্ত অর্ধেক বিজেপি বিধায়ক বিধানসভায় থাকলেও বাকিরা ওয়াকআউট করেন। কথায় কথায় বিজেপি বিধায়কদের আপত্তিকর স্লোগানও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সমালোচনায় তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়।
রাজ্য সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে বিরোধী বিধায়করা নিজেদের মতভেদকে প্রকট করে তুলল। স্পষ্ট হল, বিধানসভায় দ্বিধাবিভক্ত বিজেপি বিধায়কদের নাম কে ওয়াস্তে বিরোধিতা। প্রসঙ্গত সংসদে মনুসংহিতা বিল উত্থাপন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় বিলের বিরোধিতায় সোচ্চার রাজ্যের ক্ষমতাসীন দলের বিধায়করা। দণ্ড সংহিতা বিলের বিরুদ্ধে সংসদে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, রাষ্ট্রদ্রোহ আইন তুলে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, আসলে আগের আইনের থেকে আরও কঠোর করার প্রস্তাব রয়েছে এই বিলে। নাগরিক সুরক্ষা সংহিতায় যদিও খুবই সাধারণ মানের পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
যে বিধি নিয়ে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, সেটি হল পুলিশের ক্ষমতা বৃদ্ধি। নাগরিকদের দিক থেকে পুলিশের ক্ষমতা অনেক বেশি বৃদ্ধি করা হয়েছে। নতুন আইনে বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে প্রয়োজনে যে কোনও পদক্ষেপ করতে পারে পুলিশ। অর্থাৎ, আইনজীবী মহলের দাবি, এক্ষেত্রে আফস্পা আইনের সমকক্ষ করে তোলা হয়েছে পুলিশের ক্ষমতাকে। এই বিধি সাধারণ নাগরিকের জন্য অত্যন্ত মারাত্মক বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। তাই নাগরিক স্বাধীনতা ও সুরক্ষার স্বার্থে রাজ্য সরকার এই প্রস্তাবিত বিলের বিরোধিতায় সোচ্চার। বুধবার বিধানসভায় এই বিলের বিরুদ্ধে ভোটাভুটি হয়। তাতে ব্যাপক হইহট্টগোল হয়। বিরোধী বিজেপি বিধায়কদের একাংশ ওয়াকআউট করেন। ১০১-৪২ ভোটে কেন্দ্রীয় বিলের প্রস্তাব পাস হয়। বিজেপির দ্বিধাবিভক্ত শিবিরের ছবিতেই স্পষ্ট তাঁরা বিরোধিতা করতে গিয়ে দুর্বল হয়ে পড়ছে।
ভোটাভুটি নিয়ে ব্যাপক হই হট্টগোল হয় বিধানসভায়। এরমধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের করুচিকর মন্তব্য নিয়েও সমালোচনার ঝড় ওঠে। সলমান খান সহ বলিউড তারকাদের সঙ্গে নাচের ছন্দে পা মিলিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গ তুলে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করা হয় বলে মুখর হন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ওশশী পাঁজা। বিধানসভায় কেন্দ্রীয় নীতি থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। চব্বিশে বোল্ড আউট হওয়ার আগে বিজেপি সরকার নানা বিতর্কিত ভূমিকা পালন করছে বলেও জনমত গড়তে চায় তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রতিনিধিরা।
Free Access