
The Truth of Bengal: প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে লাগাতার জেরা করল ইডি।৯ঘন্টার ওপর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে। বুধবার বেলা ১১টা ৩৫মিনিটে সিজিও কমপ্লেক্সে যান অভিষেক।সেখানে তাঁর জন্য প্রশ্নমালা নিয়ে তৈরি ছিলেন ইডির আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন অভিষেক। বেনিয়মের কোনও অভিযোগ নিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সি যখনই তাঁকে তলব করেছে তখনই সহযোগিতার হাত বা়ড়িয়ে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।এবারও তার অন্যথা হল না।বুধবার দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয় কমিটির বৈঠকে না গিয়েই তিনি সোজা সিজিও কমপ্লেক্সে যান।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ড নিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা প্রশ্নমালা থেকে যে যে বিষয় জানতে চান তার উত্তর দেন অভিষেক।মূলতঃ নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনা নিয়ে অভিষেক কোনও তথ্য জানেন কিনা তা জানার চেষ্টা করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।জেরার মুখোমুখি হওয়ার আগে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিযোগ করেন,প্রতিহিংসা মেটাতেই তাঁকে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের দিন তলব করা হয়েছে।একইসঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্ব বার্তা দেন,ইডির তলবে তাঁরা মোটেই ভীত নয়।সিজিও কমপ্লেক্স চত্বরে প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল ভোর থেকেই। অভিষেকের পৌঁছনোর অনেক আগেই নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে ফেলা হয় সল্টলেকের সিজিও চত্বরকে।
ট্রাফিক গার্ডের বিশেষ দল থেকে শুরু করে নিকটবর্তী থানার পুলিশ, মহিলা পুলিশ, কলকাতা পুলিশের বাহিনী এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে সল্টলেকের সিজিও চত্বর নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার ঘেরাটোপে চলে যায়। বলা যায়, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের লেখা এক চিঠির সূত্রধরে ২০ মে অভিষেককে টানা প্রায় সাড়ে ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচির মাঝেই তিনি হাজিরা দেন সিবিআইয়ের কাছে। এর ঠিক কদিন পরেই ১৩ জুন, কয়লাকাণ্ডে অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠায় ইডি। তিনি হাজিরাও দেন। ওই দিনেই ১৩ জুন হাজিরার কথা জানিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠায় ইডি। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে হাজিরা দেওয়ার জন্য তলব করা হয় তাঁকে।