মালয়েশিয়ার মন্দিরে বিশ্বের প্রথম ‘এআই দেবী’! কথা বলেন ভক্তদের সাথেও
World's first 'AI goddess' at Malaysian temple Talk to fans too

Truth of Bengal: মালয়েশিয়ার একটি মন্দিরে চালু হয়েছে বিশ্বের প্রথম ‘এআই মা জু’ মূর্তি—একটি ডিজিটাল রূপের চীনা সমুদ্র দেবী। প্রাচীন আধ্যাত্মিকতা ও আধুনিক প্রযুক্তির মিশেলে তৈরি এই এআই মা জু এখন ভক্তদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে এবং তাঁদের সাথে কথা বলতে পারে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ার জোহরের তিয়ানহৌ মন্দির থেকে একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে যেখানে দেখা যায়, ভক্তরা একটি ডিজিটাল স্ক্রিনে প্রদর্শিত এআই মা জুর সাথে যোগাযোগ করছেন। এই মূর্তিটি তৈরি করেছে মালয়েশিয়ান প্রযুক্তি কোম্পানি Aimazin, যারা ব্যক্তি বিশেষের এআই ক্লোনও তৈরি করে।
Malaysia unveils the world’s first AI-powered Mazu statue, letting devotees interact with the sea goddess! Resembling actress Liu Yifei, the digital Mazu answers questions and gives blessings. Launched for Mazu’s 1,065th birthday, this innovation is drawing global attention.… pic.twitter.com/lpvgaHP2o8
— India Today Global (@ITGGlobal) April 28, 2025
ডিজিটাল মা জু মূর্তিটি চীনা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরা এক সুন্দরী নারীর রূপে দেখা যায়, যার চেহারা চীনা অভিনেত্রী লিউ ইয়েফেই-এর মতো, তবে একটু গোলগাল।
মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি বিশ্বের প্রথম এআই মা জু। ভক্তরা এর কাছে আশীর্বাদ চাইতে পারেন, ভাগ্যের কাঠি টেনে তার ব্যাখ্যা শুনতে পারেন এবং নিজের সন্দেহের উত্তর জানতে পারেন।
এক ভিডিও প্রদর্শনীতে, Aimazin প্রতিষ্ঠাতা শিন কং মূর্তিটিকে প্রশ্ন করেন, সে কি হঠাৎ করে প্রাপ্ত সৌভাগ্য (চীনা ভাষায় ‘পিয়ান ছাই ইউন’) এনে দিতে পারে? উত্তরে মা জু শান্ত কণ্ঠে বলেন, “বাড়িতে থাকলে হঠাৎ সৌভাগ্যের সম্ভাবনা বাড়বে।”
এরপর একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার এসে জানালেন, তিনি রাতে ঘুমাতে পারেন না। মা জু তাঁকে “আমার সন্তান” বলে সম্বোধন করে পরামর্শ দেন, ঘুমের আগে একটু গরম জল পান করতে।
এই এআই মা জু মূর্তিটি চালু করা হয়েছে সমুদ্র দেবীর ১,০৬৫তম জন্মবার্ষিকীর আগে, যা ২০ এপ্রিল, ২০২৫ সালে পড়েছে।
ইতিহাস অনুসারে, মা জু ৯৬০ খ্রিস্টাব্দে ফুজিয়ান প্রদেশের মেইজৌ দ্বীপে ‘লিন মো’ নামে জন্মগ্রহণ করেন। জনশ্রুতি মতে, তিনি ডুবে যাওয়া নৌকাযাত্রীদের উদ্ধার করতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেন এবং পরবর্তীতে স্বর্গে উঠে সমুদ্রযাত্রীদের রক্ষাকর্ত্রী হিসেবে পূজিত হন।
আজ, মা জু শুধুমাত্র চীনে নয়, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশেও বিপুল সংখ্যক ভক্ত দ্বারা পূজিত হন।