কারোর চাকরি যাবে না, মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের পরেও কেন বিক্ষোভ?
Why are there protests despite the Chief Minister's assurance that no one will lose their jobs?

Truth Of Bengal: নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরিহারাদের আশ্বাস দিয়েছেন, কারোর চাকরি যাবে না। যোগ্যও বঞ্চিতদের চাকরি বাঁচানোর জন্য আইনি লড়াই করবো। রাজ্য সরকার যখন জীবিকা রক্ষার লড়াই করছে,তখন রাজ্যের একাংশে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে অনেকেই। এই বিক্ষোভের যৌক্তিকতা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।কেউ কেউ বলছেন,মুখ্যমন্ত্রী যেটা বলেছেন,সেটাই কী সত্যি? মুখ্যমন্ত্রী যে অভিযোগ করেছেন, তাহলে কী বিরোধীদের মদত রয়েছে ?
এসএসসি কাণ্ডে বাংলার ২৬হাজার শিক্ষকও শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে গেছে। সেইসব চাকরিহারাদের সর্বোতভাবে পাশে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকার সবদিক খতিয়ে দেখে যোগ্যদের চাকরি রক্ষা করার আইনি লড়াই জারি রেখেছে।কপিল সিব্বাল, অভিষেক মনুসিংভি, রাকেশ দ্বিবেদী, প্রশান্ত ভূষণদের টিম সওয়াল করবেন। এরমাঝে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সুপ্রিমকোর্টে আবেদন করেছে।
আবেদনে বলা হয়েছে, পরবর্তী নিয়োগ না হওয়া অবধি, অবৈধ বলে নিশ্চিতভাবে চিহ্নিত না–হওয়া পর্যন্ত চাকরিহারাদের শিক্ষকতা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হোক। বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থাকে সচল রাখার স্বার্থে এই আবেদন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্য সরকার যখন চাকরি বাঁচানোর চেষ্টা করছে, তখন বিরোধীরা রাজনীতি করছে বলে তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযোগ করেছেন। একইসঙ্গে প্রশাসনিক প্রধান মানবিক কারণে ভরসা দিয়েছেন, যোগ্যদের একজনকেও চাকরি খেতে দেওয়া হবে না। তারপরেও কসবার ডিআই অফিসে বিক্ষোভ দেখায় চাকরিহারারা। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যেখানে আশ্বাস দিয়েছেন, সেখানে কেন এই আন্দোলন গড়ে তোলা হচ্ছে ? কেন ডিআই অফিসকে বেছে নেওয়া হচ্ছ ?
কসবার মতোই বারাসতেও বিক্ষোভ দেখায় চাকরিহারাদের একাংশ। বীরভূমের নানা অংশের মতোই সিউড়িতেও উত্তেজনা ছড়ায় নদিয়ার কৃষ্ণনগরেও জেলার একাংশের চাকরিহারারা ডিআই অফিসে বিক্ষোভ দেখায় আসানসোলের মতোই মালদাতেও ডিআই অফিসেও তুমুল বিক্ষোভ হয়। পূর্ব বর্ধমানেও বিক্ষোভকারীদের শোরগোল শোনা যায়। তৃণমূল নেতৃত্বের প্রশ্ন, সিপিএম কেন গোড়া কেটে দিয়ে গাছ বাঁচানোর নাটক করছে? এই বিক্ষোভের পিছনে বিরোধীদের হাত থাকার প্রমাণও পাচ্ছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।