“রিভিউ পিটিশনের শুনানির পর সিদ্ধান্ত” স্পষ্ট জানালেন চাকরিহারা শিক্ষকরা

Truth Of Bengal: এসএসসির জারি করা বিজ্ঞপ্তি নিয়ে এবার নিজেদের বক্তব্য পেশ করলেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। কি বললেন তাঁরা? যারা নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের বক্তব্য তাঁরা নতুন করে পরীক্ষা দেবেন না। বরং রাজ্য সরকারকে তাঁদের চাকরি ফেরত দিতে হবে। এখানেই শেষ নয়, তাঁরা আরো জানালেন যে এই মুহূর্তে ফরম ফিলাপ করবেন না। এর সঙ্গে এটাও স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে রিভিউ পিটিশনের শুনানির পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের আগে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফ থেকে। যাবতীয় তথ্য ও তারিখ দিয়ে দেওয়া হয় তাতে। পাশাপাশি, চাকরিহারাদের জন্য বয়সসীমায় ছাড় দেওয়া হয়েছে বলেও খবর। তবে তা সত্ত্বেও এই বিজ্ঞপ্তিতে হতাশ হয়েছেন শিক্ষকরা। তাঁদের বক্তব্য, অনেককিছুই উল্লেখ করা হয়নি তাতে। এখানেই শেষ নয়, তাঁরা এটাও জানিয়ে দেন যে তাঁদের আন্দোলন জারি থাকবে।

এবার এই প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করে নিজেদের অবস্থান জানালেন আন্দোলনকারী চাকরিহারা শিক্ষকরা। তাঁরা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সল্টলেক বিকাশ ভবনের সামনে। সেখানে তাঁরা জানিয়ে দেন যে একই পরীক্ষা দুবার দেবেন না। এখানেই শেষ নয়, এর সঙ্গে তাঁরা এটাও বলেন যে যাঁরা এবার পরীক্ষা দেবেন তাঁদের কাছে ব্যাপারটা সহজ হলেও চাকরিহারাদের কাছে নয়। এছাড়া এটাও বলা হয় যে শিক্ষকদের মানসিক অবস্থা এই মুহূর্তে ভালো নয়।

যোগ্য চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের সদস্য মেহবুব মণ্ডল বলেন, “এক পরীক্ষা আমরা দুবার দেবো কেন? সময় কম নতুন পরীক্ষার জন্য। যারা এই বছর দেবে, তাদের কাছে ব্যাপারটা সহজ হতে পারে। তবে আমাদের কাছে নয়। এই মুহূর্তে আমাদের মানসিক অবস্থা ভালো নয়। অনেকের পরিবারে সমস্যা রয়েছে। তাদের কাছে সহজ হবেনা নতুন করে পরীক্ষা দেওয়াটা।” এরপর অভিজ্ঞতা থাকায় বাড়তি নম্বর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “১০ নম্বর অভিজ্ঞতায়। সরকার ভাবছে এতে আমাদের সুরাহা হবে। কিন্তু তা নয়। যাদের অভিজ্ঞতা রয়েছে, এটা তাদের জন্য। আরো দ্বিচারিতা নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীতে বাড়তি সুযোগ। টিচিং অভিজ্ঞতা যাদের রয়েছে, তাদের সবার কথাই বলা হচ্ছে এখানে। ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে।” এবার দেখার বিষয় যে সরকারের তরফ থেকে কি প্রতিক্রিয়া আসে এই বক্তব্য শুনে।