মেছুয়া বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর, আর্থিক সহায়তার ঘোষণা
Prime Minister expresses grief over horrific fire in Mechua Bazar, announces financial assistance

Truth Of Bengal: বড়বাজারের মেছুয়া বাজারে একটি হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। এই ঘটনায় গোটা শহরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃতদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, ১ জন মহিলা এবং ২ জন শিশু (এক ছেলে ও এক মেয়ে) রয়েছেন। আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত ৮টি মৃতদেহ শনাক্ত করা গেছে।
ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেছুয়াবাজার ফলপট্টির একটি হোটেলে। আগুন লাগার খবর পেয়ে পুলিশ ও দমকলকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সমস্যায় পড়েন তাঁরা। অনেক রাত পর্যন্ত চলা লড়াইয়ের পরে আগুন আয়ত্তে আসে।
অগ্নিকাণ্ডের সময় এক হোটেলকর্মী প্রাণ বাঁচাতে উপর থেকে ঝাঁপ দেন। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি। দমবন্ধ হয়ে একে একে আরও অনেকের মৃত্যু হয়। মৃতদেহগুলি আর.জি. কর, এন.আর.এস এবং মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিঘা থেকে ফোনে পরিস্থিতির খোঁজ নেন। রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও মন্ত্রী শশী পাঁজা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে বাংলায় শোকবার্তা দিয়ে তিনি লেখেন, “কলকাতায় অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় আমি মর্মাহত। যারা প্রিয়জনদের হারিয়েছেন, তাঁদের সমবেদনা জানাচ্ছি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।”
কলকাতায় অগ্নিকান্ডে প্রাণহানির ঘটনায় আমি মর্মাহত। যারা প্রিয়জনদের হারিয়েছেন, তাঁদের সমবেদনা জানাচ্ছি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।
প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে মৃতদের প্রত্যেকের নিকটাত্মীয়কে ২ লক্ষ টাকা করে এবং আহতদের ৫০,০০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া…
— PMO India (@PMOIndia) April 30, 2025
তিনি ঘোষণা করেছেন, মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে।
এই ঘটনার পর থেকেই হোটেলের মালিক পলাতক। কীভাবে আগুন লাগল, এবং হোটেলে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা ছিল কি না — তা খতিয়ে দেখতে তদন্তে বিশেষ টিম (SIT) গঠন করেছে কলকাতা পুলিশ।