ফিরে এল নস্ট্যালজিয়া! তিলোত্তমার রাস্তায় নতুন রূপে হলুদ ট্যাক্সি
Nostalgia is back! A new look yellow taxi on the streets of Tilottama

Truth Of Bengal: সইফ খান: কয়েক দশক ধরে হলুদ ট্যাক্সি শুধু একটি যানবাহন নয়, কলকাতার আবেগের প্রতীক। সিনেমার ফ্রেমে, কবিতার লাইনে বা প্রেমের গল্পে- হলুদ ট্যাক্সির কথা এলেই শহরের একটা পুরনো ছবি স্মৃতির ফ্রেমে ভেসে ওঠে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে পুরনো গাড়িগুলো ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছিল। ট্যাক্সিচালকরা সমস্যায় পড়ছিলেন, যাত্রীরাও খুঁজছিলেন আরও আধুনিক সুবিধা।
তাই শহরের ঐতিহ্যবাহী হলুদ ট্যাক্সি এবার আধুনিকতার ছোঁয়া নিয়ে ফিরল মহানগরীর রাস্তায়। পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিষ চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হল “ইয়েলো হেরিটেজ ক্যাবস”। নতুন মডেলের এই ট্যাক্সিগুলিতে থাকবে এসি সুবিধা, যা যাত্রীদের যাত্রা আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় করবে।
যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে শহরের রাস্তায় নামানো হয়েছে ৩,০০০ নতুন এসি হলুদ ট্যাক্সি। তবে শুধুমাত্র বাহ্যিক পরিবর্তন নয়, এই ট্যাক্সিগুলিতে যুক্ত হয়েছে ডিজিটাল পেমেন্ট এবং “যাত্রী সাথী” অ্যাপে অনলাইন বুকিংয়ের সুবিধা। ফলে আগের মতো রাস্তায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করার প্রয়োজন পড়বে না।
শুধু যাত্রীদের সুবিধাই নয়, পুরনো হলুদ ট্যাক্সি চালকদের জন্যও থাকছে নতুন গাড়ি চালানোর সুযোগ। এর ফলে তাঁদের কর্মসংস্থান সুরক্ষিত থাকবে এবং আরও ভালো পরিষেবা দিতে পারবেন।
পরিবহনমন্ত্রীর বক্তব্য, “কলকাতার হলুদ ট্যাক্সি শুধু একটি গাড়ি নয়, এটি শহরের ঐতিহ্য। আমরা চাই এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে, তাই নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে একে আরও আধুনিক করা হয়েছে।”
এই শহর বদলায়, কিন্তু ফেলে দেয় না। পুরনো ল্যাম্পপোস্টের নিচে বসে থাকা প্রেমিক-প্রেমিকার মতো, কলেজ স্ট্রিটের পুরনো বইয়ের মতো, আর হলুদ ট্যাক্সির সেই ভরসার মতো- কলকাতা তার ঐতিহ্য ধরে রাখে। নতুন রূপে, নতুন প্রযুক্তিতে হলেও, হলুদ ট্যাক্সির আবেগ কলকাতার বুক থেকে মুছে যাবে না। বরং, সে আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে শহরের আনাচে-কানাচে, যেখানে নস্ট্যালজিয়া আর আধুনিকতা পাশাপাশি পথ চলবে।