কলকাতা

দিল্লির থেকে পিছিয়ে কলকাতা! দাবি মেয়রের

Mayor Firhad Hakim

The Truth of Bengal: কিছুদিন আগে বায়ুদূষণে দিল্লি এক নম্বরে ছিল কলকাতা ৩ নম্বর ছিল। সিদ্ধান্ত হয়েছিল কলকাতা পৌর সংস্থার ৪০ টি স্পৃগলার দিয়ে জল ছড়াবে। এক কোটি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তার ফলে কলকাতার দূষণের মাত্র অনেকটা কমে গেছে বলে দাবি করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। প্রায় ধূলিকণা ২০ এসে নেমেছ। তাঁর দাবি, ‘আমরা ফুটপাথে জল দিচ্ছি। আমরা চাইছি যে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমরা গাছ লাগানোর পরিকল্পনা বেশিভাগ করছি। এই বছর প্রায় ৫০ হাজার গাছ লাগানো হয়েছে’। আগামী তিন বছরে ১ কোটি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানান মেয়র।

তিনি আরও জানান, কলকাতা থেকে উপরে আছে মুম্বই। কিন্তু তাঁদের অ্যাডভান্টেজ একটাই, পাশেই সমুদ্র আছে। নির্মাণ সামগ্রী যতটা পারছি আমরা রাজারহাট পাঠাচ্ছি। কালীপুজোর সময় আমরা চেষ্টা করব যে স্প্রিংলারের মাধ্যমে পরের দিন সকালে রাস্তা জুড়ে জল ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এরফলে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। হকারকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন মেনেই হকার বসতে হবে বলে জানিয়ে দেন মেয়র। কাশিপুর অঞ্চলে আমরা জলের মিটার বসিয়েছি একবছর আগে। আমরা ৫২% জল বাঁচাতে পেরেছি। যার জন্য এডিভি প্রশংসা করেছে।

150 লিটার প্রত্যেক ব্যাক্তি হিসাব মানুষ কে জল দিতে হবে। সেটা 200 লিটার চলে যাচ্ছিল। তখন আমাদের জল বিভাগের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি যায়। তারা দেখে যে অনেক জায়গায় আন্ডার রিজার্ভের ট্যাংকে ভাল্ব ছিল না। আমাদের 515 মিলিয়ন গ্যালন জল উৎপাদন হচ্ছে। তার পরেও জল আরো বেশি খরচ হচ্ছে। সেটা কম করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রত্যেক বছর 700 কোটি টাকা খরচ হচ্ছিল। তার জন্য আমরা সাধারণ মানুষকে সচাতেন করার জন্য একটা পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। যেখানে যেখানে আমরা মিটার বসাচ্ছি। সেখানে আমি নিজেই আবেদন করছি। জলের অপচয় বন্ধ করার জন্য জনসাধারণের কাছে প্রচার চালাবো।

দীপাবলির পর আমরা সমস্ত কাউন্সিলর মিলে জল অপচয় নিয়ে প্রচার করব বলে জানান মেয়র। আমরা কোনো মতে জল অপচয় করতে দেব না। যদি কোনো জায়গায় দেখা যায় যে কোনো নল থেকে জল অপচয় হলে। সেই স্ট্যান্ড পোস্টে লাইন কেটে দেব। 18655 টি জলের মিটার লাগানো হয়েছে কাশীপুরে।  6 টি ওয়ার্ডে ওয়াটার মিটার লাগানো হয়েছে কাশীপুরে। একটা 5 জনের পরিবারে 3 হাজার মিটার জল অপচয় হচ্ছিল। পরে দেখা গেল যে ট্যাংকে লিক ছিল। 893 হয়েছে ডেঙ্গুর আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে। 12334 জানুয়ারি মাস থেকে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানান মেয়র। এখন ডেঙ্গু অনেক টা কমেছে । যেহেতু এখনো বৃষ্টি হচ্ছে না।

Free Access

Related Articles