“দোষীদের ফাঁসি চাই”- আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী
"I want the culprits to be hanged" - the Chief Minister took to the streets to protest the R.G.kar case

Truth Of Bengal: আরজিকর কাণ্ডে দোষীদের ফাঁসির দাবিতে পথে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দুপুরে মৌলালি থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মিছিল করবেন তিনি। শুক্রবার দুপুরে মৌলালি থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মিছিল করবেন তিনি। এই মিছিলে তিনি জানান, আরজি কর কাণ্ড নিয়ে বিরোধীরা চক্রান্ত করছে। এমনতাই অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, বাম ও বিজেপির বিরুদ্ধে একযোগে অভিযোগ তৃণমূলের। রাম, বামের এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে দলকে রাস্তায় নামতে নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, আরজিকরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে যেইভাবে সমাজ মাধ্যমে কুৎসার রাজনীতি শুরু করেছে তার পাল্টা প্রতিবাদ হিসেবে এবার রাস্তায় নামছে তৃণমূল। প্রথম থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরজি কর কাণ্ডের দোষীদের ফাঁসি যেন দেওয়া হয় এই কথা বলে এসেছেন ।
তাঁর এই দাবিতেই শুক্রবার সেই দাবিতে পথে নামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃনমূল সমর্থিত সকলে। তাঁর এই মিছিলে উপস্থিত আছেন, শতাব্দী রায়, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, শশী পাঁজা, সায়নী ঘোষ, জুন মালিয়া, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্র, সায়ন্তিকা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অদিতি মুন্সি, দোলা সেন, লাভলি মৈত্র। এই মিছিল শেষ করে মঞ্চে ওঠেন মমতা। পাশে ছিলেন তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়কেরা।
তাঁদের মুখে একটাই স্লোগান, ‘‘দোষীদের শাস্তি চাই। শাস্তি নয়, ফাঁসি চাই। তাড়াতাড়ি বিচার চাই।’’ উল্লেখ্য, মিছিলের মাঝেই রাস্তায় উপস্তিত সাধারন মানুষদের সাথে কথা বলেন মমতা। এমনকি এই মিছিলে সারা রাস্তা হাতজোড় করে মিছিলে হাঁটেন মমতা। তাঁর পাশে তৃণমূল সাংসদ, বিধায়ক, কর্মীদের মুখে স্লোগান, ‘‘দোষীদের ফাঁসি চাই।’’ উল্লেখ্য, গত বুধবার বেহালায় প্রাক-স্বাধীনতা উদযাপনের অনুষ্ঠানে এই ঘোষণার সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলনরত চিকিৎসকদের কাজে ফিরতে অনুরোধ করেছেন।
এমনকি তিনি সিপিআইএম ও বিজেপিকে আক্রমণ করে তাদের জমানায় ঘটে যাওয়া একের পর এক ধর্ষণ-খুনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে নেত্রী বলেন, ‘‘গত শুক্রবার আরজি করের ঘটনার দিন ছিলাম ঝাড়গ্রামে। সেখান থেকেই পুলিশের সঙ্গে টানা যোগাযোগ রেখে গিয়েছি। ১২ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে। পৃথিবীর সেরা কলকাতা পুলিশের দক্ষ অফিসাররা তদন্ত করছিল। রবিবার পর্যন্ত সময় দিয়েছিলাম। হাইকোর্ট সিবিআইকে তদন্তভার দিয়েছে। আশা করব ওরা রবিবারের মধ্যে রেজাল্ট দেবে। মাথায় রাখতে হবে, রাজ্য পড়ুয়াদের দাবি মেনে এমএসভিপি, প্রিন্সিপাল, পুলিশকে বদলি করেছি”।
ব